Latest Viral Video: বন্যপ্রাণীদের নিয়ে সবসময় সতর্ক থাকা উচিত সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে, যখন তাঁরা জঙ্গলে ভ্রমণে যান। প্রথমটা, বন্যপ্রাণীদের বাঁচানো। দ্বিতীয়টা, বন্যপ্রাণীদের থেকে নিজেদের বাঁচানো। জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে সতর্কতা সবসময় জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পরিবারের সন্ধান মিলেছে, যাঁরা জঙ্গল সাফারিতে গিয়েছিলেন। সম্ভবত, পরিবারের লোকজন মিলে একটা গাড়ি ভাড়া করে তা নিয়ে জঙ্গলের ভিতরে ঘুরছিলেন রোমাঞ্চের স্বাদ আস্বাদন করতে। কিন্তু সেই জঙ্গল সাফারিতে (Jungle Safari) গিয়ে হঠাৎই তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে যায় এক হাতি (Elephant)। ওই পরিবারের জন্য হাতিটি যেন পথের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। গাড়ির মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই ছিলেন বয়স্ক। ভয়ে তাঁরা গাড়ির ভিতরে ঠাকুরের নাম ডাকতে (Mantra Chanting) শুরু করে দেন!
গাড়ির ভিতর থেকেই ভিডিয়োটি শুট করেছেন এক টুরিস্ট। দেখে মনে হল, এই ঘটনাটা যেন ঠিক জঙ্গলের মাঝামাঝি অবস্থায় ঘটেছে। ভিডিয়োতে দেখা গেল, টুরিস্ট বোঝাই গাড়িটা একটা হাতিকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়। যেই গাড়িটা দাঁড়িয়ে গেল, তখনই হাতিটি ওই টুরিস্ট গাড়িটার দিকে টুকটুক করে এগিয়ে আসতে থাকল। গাড়ির মধ্যে থাকা কিছু টুরিস্ট বলতে থাকলেন ওই হাতিটাকে কিছু কলা দিতে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার একটু ভয়ও পেয়ে গেলেন।
হাতিটা যখন ওই গাড়িটির দিকে এগিয়ে এল, তখন প্যাসেঞ্জারদের মধ্যে কেউ-কেউ গণেশের মন্ত্র জপ করতে থাকলেন, যাতে এ যাত্রায় তাঁদের বাঁচিয়ে দেয় গজরাজ। সেই সময় ড্রাইভার গাড়িটাকে নিয়ে কয়েক মিটারের জন্য পিছিয়ে যেতে থাকে। তারপর হাতিটা ধীরে ধীরে সরে গিয়ে রাস্তার পাশে চলে যায়।
?
When a car full of #Brahmins meet a wild #Elephant ???@susantananda3 @ParveenKaswan @SudhaRamenIFS @hvgoenka pic.twitter.com/75lQQuVOWE
— Rupin Sharma IPS (@rupin1992) March 26, 2023
হাতিটা সরে যেতেই এক প্যাসেঞ্জার গাড়ির ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠেন, “এবার খুব জোরে চালাও।” এবার যখন গাড়িটা হাতির পাশ দিয়ে যেতে শুরু করল, ঠিক তখনই প্রাণীটি তার শুঁড়টি উঁচু করে তাঁদের নিরাপদ যাত্রাকে অভিবাদন জানাতে থাকে! টুইটারে এই ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (IPS) অফিসার রুপিন শর্মা। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “একটা গাড়ি বোঝাই ব্রাহ্মণদের সঙ্গে যখন হাতির দেখা হল।” 26 মার্চ ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যেই তার ভিউ 56.2K। ইউজাররা নানাবিধ কমেন্টও করেছেন।
একজন লিখছেন, “শুধু মন্ত্রটা দেখলেই হবে না। কীভাবে হাতি এবং গাড়ি একে অপরকে নিজেদের পথ খালি করার জন্য সাহায্য করল, সেটা সত্যিই দেখার মতো। এভাবেই সহাবস্থান করে একে অপরকে জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।” আর একজন যোগ করলেন, “সত্যিই মন্ত্রের জোর আছে বলতে হয়।” তৃতীয় জনের বক্তব্য, “মন্ত্রটা কাজে এসেছে। হাতিটা ওদের আশীর্বাদ করেছে।”