রুটি বানালেন প্রিন্স উইলিয়াম-কেট মিডলটন! বাচ্চাদের সঙ্গে সময়ও কাটালেন রাজ-দম্পতি
ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ কেমব্রিজ। সেখানে দেখা গিয়েছে, চাপাটি অর্থাৎ রুটি বানাচ্ছেন রাজপরিবারের এই দুই 'রয়্যাল মেম্বার'।
রান্না করছেন ব্রিটেনের রাজপরিবারের প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটন! শুনে অবাক লাগলেও, বাস্তবে এটাই হয়েছে। স্কটল্যান্ডের একটি শিখ সমর্থিত চ্যারিটি সংস্থা ‘শিখ সংযোগ’ এডিনবার্গ এলাকায় দুর্গত এবং দুস্থ মানুষদের খাবার দিয়ে সাহায্য করে। এই সংস্থার সঙ্গেই ওই দুর্গত মানুষদের জন্য খাবার তৈরি করেছেন ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ কেমব্রিজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ কেমব্রিজ। সেখানে দেখা গিয়েছে, চাপাটি অর্থাৎ রুটি বানাচ্ছেন রাজপরিবারের এই দুই ‘রয়্যাল মেম্বার’।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রুটি বানানোর জন্য প্রথমে গোল করে লেচি কেটে নিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটন। তারপর বেলন দিয়ে বেশ গোল করে রুটি বেলেওছেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়। নিজে হাতে রুটিও সেঁকেছেন প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটন। এরপর আবার আলাদা আলাদা বাক্সে ভাত এবং তরকারি ভরে সুন্দর করে প্যাকিং করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। এডিনবার্গে কুইনস রয়্যাল রেসিডেন্সে প্যালেস অফ হলিরুডহাউসের রাজকীয় রন্ধনশালায় রান্না করতে দেখা গিয়েছে এই রয়্যাল দম্পতিকে।
View this post on Instagram
কেট জানিয়েছেন, তিনি নিজেও নাকি মশলাদার ‘কারি’ খেতে বেশ পছন্দ করেন। তবে স্ত্রী’র খুব ‘স্পাইসি’ খাবার পছন্দ হলেও মশলাদার রেসিপ থেকে একটু তফাত রেখেই চলেন প্রিন্স উইলিয়াম। তবে ওই শিখ সংগঠনের সঙ্গে রান্নার কাজে হাত লাগিয়েই থেকে থাকেননি প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটন। বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। বাচ্চারা যখন নানা রঙ দিয়ে বিভিন্ন রকমের ছবি আঁকছিল, তাদের পাশে বসে একমনে সেইসব দেখছিলেন ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ কেমব্রিজ। বাচ্চাদের সঙ্গে গল্প এবং খেলাধুলো করেও সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। ওই সংস্থার বৃদ্ধারা যখন ঢোল বাজিয়ে গান করে আমোদ-আহ্লাদে মেতেছিলেন সেখানেও উপস্থিত ছিলেন এই রয়্যাল কাপল।
আরও পড়ুন- ‘কবুল হ্যায়’, বিয়ের আসরেই বরকে জড়িয়ে ধরে চুমু! ভাইরাল ভিডিয়ো
প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, ‘শিখ সংযোগ’ সংস্থা। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সকলেই জানিয়েছেন, রয়্যাল দম্পতির সাহচর্য দারুণ ভাবে উপভোগ করেছেন সবাই। বাচ্চারাও খুব আনন্দ পেয়েছিল। রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে খুশি সকলেই।