বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য- কথাটা যে ভারতের জন্য কতখানি খাঁটি তা বোঝা যায় আমাদের সংস্কৃতি আর খাওয়া দাওয়া থেকেই। ভারতে বহু সংস্কৃতির মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের প্রত্যেকের নিজস্ব উৎসব রয়েছে, নিজস্ব অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই সঙ্গে নিজস্ব খাওয়া দাওয়া রয়েছে। মাছের রান্না এক একটি প্রদেশে একএক রকম। কেরল কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশে যে ভাবে মাছ রান্না করা হয় সেই একই পদ্ধতি মেনে মাছ রান্না করা হয় না পশ্চিমবঙ্গে। তেমনই চিঁড়ের পোলাওয়ের রেসিপিও কিন্তু সর্বত্র সমান নয়।
এছাড়াও ডিম, মাংস, পনির- এক এক জায়গায় এক এক ভাবে রান্না করা হয়। তবে ভারতীয় স্ট্রিড ফুডের জনপ্রিয়তা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। বিদেশের মাটিতেও ফুচকা, রোল, পাওভাজি, ধোসা মোমো, আলুর চপ এসব এখন সহজেই পাওয়া যায়। আছে নানা রকম চাটও। একবার আমাদের দেশের রাস্তার খাবারের স্বাদ যারা পেয়েছেন তারা কিন্তু অন্য খাবার আর মোটেই খেতে চান না।
এই সব খাবারোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল এগরোল। সস্তায় পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে এগরোলের জুড়ি মেলা ভার। তেলে ভাজা হলেও বাসি-পচা এগরোল কখনই আপনি পাবেন না দোকানে। প্রাথমিক ভাবে ময়দার পরোটা বানিয়ে তাতে ডিম লেপ্টে শসা-পিঁয়াজ-লঙ্কা কুচি আর টমেটো সস দিয়েই বানানো হয় এগরোল। কেউ আবার স্বাদ বাড়াতে লেবু যোগ করেন। আবার কলকাতায় এই এগরোলের মধ্যে দেওয়া থাকে আলুর পর। আবার কোথাও এগরোলের মধ্যে মেয়োনিজও ভরা থাকে। এছাড়াও ডাবল ডিমের এগরোল, চিকেন রোল, পনির রোল এসব তো হামেশাই বানানো হয়।
চেনা এগরোল বানিয়েই এবার চমকে দিলেন নাসিকের এই রোল বিক্রেতা। ছটি ডিম, চিকেন কিমা, চিকেন মশলা, পেঁয়াজ কুচি, কেচআপ আর লঙ্কা কুচি দিয়ে তিনি বানিয়ে ফেলেছেন প্রায় দেড় ফুট লম্বা এই রোল। আর এই রোলের নাম তিনি রেখেছেন বাহুবলী রোল। যতদূর জানা গিয়েছে, নাসিকে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে বড় দৈর্ঘ্যের রোল। ফুড ব্লগার আয়েষা তাঁর ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন এই রোলের ভিডিয়ো। আর তা নেটদুনিায় নজর কাড়তে মোটেই বেশি সময় লাগায়নি। ভিডিয়োটি ইতিমধ্যে প্রচুর মানুষ দেখে ফেলেছেন। সেই সঙ্গে ভিডিয়োটি নিয়ে বেশ কিছুজনকে হাসি মশকরা করতেও দেখা গিয়েছে। তবে এই রোল বিক্রেতার জন্য সবার সমর্থন চেয়েছেন এই ফুড ব্লগার।
আরও পড়ুন: Viral Video: কিটক্যাট নাকি ছুরি! টোম্যাটো দু’ভাগ হল কিটক্যাট দিয়ে… দেখুন আজব ভাইরাল ভিডিয়ো