Viral Video: হাই-রাইজ়ের লিফ্টে 24 মিনিট আটকে ছোট্ট তিনটে মেয়ে, আতঙ্ক থেকে চিৎকার, তারপর…

Viral Video Today: গাজিয়াবাদের একটি হাউজিং সোসাইটিতে অবহেলার কারণে তিনটি বাচ্চা মেয়ে প্রায় 25 মিনিটের জন্য একটি লিফ্টের মধ্যে আটকে পড়ে। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে।

Viral Video: হাই-রাইজ়ের লিফ্টে 24 মিনিট আটকে ছোট্ট তিনটে মেয়ে, আতঙ্ক থেকে চিৎকার, তারপর...
বড়দের অবহেলার খেসারত দিতে হল তিনটে ছোট্ট বাচ্চাকে।

| Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Dec 05, 2022 | 9:04 AM

গাজিয়াবাদের একটি হাউজিং সোসাইটিতে অবহেলার কারণে তিনটি বাচ্চা মেয়ে প্রায় 25 মিনিটের জন্য একটি লিফ্টের মধ্যে আটকে পড়ে। গত মঙ্গলবার ক্রসিং রিপাবলিক টাউনশিপের অ্যাসোটেক নেস্ট সোসাইটিতে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে হাউজিং সোসাইটির অ্যাপার্টমেন্ট ওনার অ্যাসোসিয়েশনের (এওএ) দুই সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট একটি মেয়ে আটকে গিয়ে লিফ্টের দরজা খোলার চেষ্টা করছে। তার সঙ্গে রয়েছে দুই বন্ধু। জানা গিয়েছে, ওই সোসাইটির বাসিন্দা শিবম গেহলটের মেয়ে তার সঙ্গীদের নিয়ে 20 তলা থেকে লিফটে ওঠে। নীচের দিকে লিফ্টটি আংশিকভাবে বিকল হয়ে পড়ে। বাচ্চা মেয়েগুলো হাত দিয়ে লিফ্টের দরজা খোলার খুব চেষ্টা করার পরে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে আতঙ্কিত এবং চিৎকার শুরু করে। সাহায্য নেওয়ার জন্য তারা এক-এক করে লিফ্টের সমস্ত বোতাম টিপতে থাকে।


তাদের মধ্যেই একটি মেয়ের বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, লিফ্টটি আগেও বেশ কয়েকবার বিকল হয়ে গিয়েছিল। অভিভাবক এবং বাসিন্দাদের দাবি, সোসাইটির সদস্যদের কাছ থেকে অসংখ্যবার অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও লিফ্টের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কিছুই করেনি।

অভিযোগ করে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, “গতকাল আমার মেয়ে এবং তার বয়সী আরও দুটি মেয়ে প্রায় 20-25 মিনিটের জন্য লিফ্টে আটকে যায়। আমি যখন সেখানে পৌঁছলাম, তখন সে খুব নার্ভাস ছিল। তিন শিশুরই অবস্থা খারাপ ছিল এবং ওরা হাউ হাউ করে কাঁদছিল। এরকম পরিস্থিতিতে আতঙ্কের কারণে বৃদ্ধ বা শিশুদের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

সোসাইটির অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আরডব্লিউএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লিফ্টের প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ বন্ধ রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা হতবাক হয়ে গিয়েছেন। অনেকেই জানিয়েছেন যে, তাদের পিতামাতার প্রতি তাঁরা সহানুভূতিশীল। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “সত্যিই ভয়ঙ্কর। ব্যাপক ভাবে রিটুইট করুন, যাতে পরবর্তীতে কোনও সোসাইটির লিফ্টে যেন এরকম না হয়।” আর এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “মেয়েগুলি খুবই সাহসী। আতঙ্কিত হননি। লিফট খোলার উপায় খুঁজে বের করার সময় একে অপরকে সাপোর্ট করেছে ওরা।” তৃতীয় একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ভয়ঙ্কর ঘটনা। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ সমস্ত শিশুকে নিরাপদে লিফ্ট থেকে বের করে নিয়ে আসার জন্য।”