Latest Viral Video: প্রেম যখন পরিণতি পায়, মনটা আনন্দে ভরে যায় ঠিকই। কিন্তু বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে দীর্ঘ দিনের প্রেমপর্ব মিটিয়ে যখন যুগলরা বিয়ে করেন, দুঃখও কম হয় না! কীসের দুঃখ, এই প্রশ্নটা উঠতেই পারে। খুব সঙ্গত কারণেই প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক। প্রেমের পরিণতি প্রাপ্তির জন্যই তো বিয়ে। তাহলে আবার দুঃখ কেন! কিন্তু মনটা যে মানতে চায় না। মনে পড়ে যায়, চরম দুর্দিনে প্রেম (Love) করার মুহূর্তগুলোর কথা। এই বাংলারই কোনও এক প্রান্তে তেমনই যুগলের দেখা মিলল, যাঁরা সবেমাত্র বিয়ে (Marriage) করার পর বিবাহবাসরে সকলের সামনেই অঝোরে কেঁদে চলেছেন। পাশের লোকজন বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেক কিছুই, কিন্তু কে কার কথা শোনে। নবদম্পতি (Married Couple) দুজনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কেঁদেই চলেছেন! ভিডিয়ো দেখে নেটপাড়ার লোকজনেরও চোখে জল চলে এসেছে!
ইনস্টাগ্রামের সেই ভিডিয়ো খুবই ভাইরাল হয়েছে। কলকাতা চিত্রগ্রাফি নামক একটি পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “কাজু কিশমিশের শুভ পরিণয়।” মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভিডিয়ো, কিন্তু তার প্রভাব সত্যিই না দেখলে ধারণা করা যাবে না।
মালাবদল হয়ে গিয়েছে, সিঁদুরদানও সারা। বিয়ের মণ্ডপ থেকে তখন বর ও কনে উঠে এসেছেন। তাঁদের দুজনকে ঘিরে রয়েছেন সেখানে উপস্থিত অতিথিরা, পরিবারের মানুষজন এবং দুজনের কাছের বন্ধুরা। এমনই সময় দেখা গেল, বর ও কনে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদে চলেছেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অতিথিরা দুজনকেই সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা এতটা লড়াই করেছেন বলেই সুদিন এসেছে। তাই, কান্না নয়, দুজনের মুখে হাসি দেখতে চাইছিলেন তাঁরা। কিন্তু তখনও দুজনে কেঁদে যাচ্ছিলেন। কখনও ফুঁপিয়ে, কখনও আবার হাউহাউ করে। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন যাঁরা, এভাবে বর-কনেকে কাঁদতে দেখে তাঁদেরও চোখের কোণা ভিজে যাচ্ছিল।
নেটিজ়েনদের মধ্যেও অনেকে এই ভিডিয়ো দেখার পর নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি। ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনেই উল্লেখ করা হয়েছে কনের নাম মধুপর্ণা এবং বরের নাম অনিরুদ্ধ। প্রায় দেড় লাখেরও বেশি মানুষ এই ভিডিয়োতে লাইক করেছেন। কমেন্টও করেছেন অনেকে।
ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে একজন মেকআপ আর্টিস্ট লিখেছেন, “সাতপাকে ঘুরলেই ভালবাসার পূর্ণতা পায় না। এটা সবে প্রথম পর্ব, বহু পর্ব বাকি থাকে এরপরেও। সেই পর্বগুলো যদি পার করা যায়, তবেই ভালবাসার পূর্ণতা পায়।” আর একজন যোগ করেছেন, “পূর্ণতা পাক সকলের ভালবাসা।”
তৃতীয় একজন যোগ করে লিখছেন, “যাঁদের ভালবাসা পূর্ণতা পায়, একমাত্র তাঁরাই বোঝে কতটা সংঘর্ষ করে দুজন দুজনকে সারাজীবনের জন্য পায়। আর যাঁরা নিজের ভালবাসার মানুষটিকে পায় না, কোনও কারণ ছাড়াই যখন তাঁরা চলে যায়, তখনই সে ভালবাসতে ভয় পায়।”