Viral: সিংহ উদ্ধার করতে এসে এ কী দেখলেন বনকর্মীরা! শুনলে অবাক হবেন আপনিও

Viral: সিংহ উদ্ধার করতে এসে ঠিক কী দেখেছিলেন বনবিভাগের আধিকারিকরা?

Viral: সিংহ উদ্ধার করতে এসে এ কী দেখলেন বনকর্মীরা! শুনলে অবাক হবেন আপনিও
ছবি প্রতীকী।

| Edited By: Sohini chakrabarty

May 08, 2022 | 10:37 PM

গ্রামের সিংহ দেখা গিয়েছে। আর এই খবর তড়িঘড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বনবিভাগের কর্মীদের কাছে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামে হাজির হয়েছিলেন বনবিভাগের আধিকারিকরা। কিন্তু তারপর শেষে যা উদ্ধার হল তা দেখে হাসির রোল উঠেছেন নেট দুনিয়ায়। কারণ বনবিভাগের আধিকারিকরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পনা করে সিংহ উদ্ধার করতে গিয়ে পেয়েছেন একটা প্যাকেট, যার গায়ে আঁকা রয়েছে সিংহের মুখ। একঝলক দেখলে মনে হবে যেন বেশ রাগী একটা সিংহ আপনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আর সেই ভ্রমই হয়েছিল গ্রামবাসীদের। আর তাই প্যাকেটের গায়ে সিংহের মুখ দেখে তাকে আসল সিংহ ভেবে ভুল করেছিলেন গ্রামবাসীরা। আর তাই তৎক্ষণাৎ বনবিভাগের কাছে খবর চলে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই কাণ্ড ঘটেছে কেনিয়ার কিনয়ানা গ্রামে। মাউন্ট কেনিয়া ন্যাশনাল পার্ক থেকে অল্প কিছু দূরে এই গ্রামের অবস্থান। সেখানেই এই কাণ্ড ঘটেছে।

বসতি এলাকায় সিংহ দেখা গিয়েছে শুনেই তড়িঘড়ি ছুটে এসেছিলেন বনবিভাগের আধিকারিকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে একটি ক্যারিব্যাগ। তার উপর আঁকা রয়েছে একটি সিংহের মুখ। এই আঁকাটা এতই ভাল হয়েছে যে দেখে মনে হচ্ছে যেন আসল সিংহ বসে রয়েছে। সেটা দেখেই দৃষ্টিভ্রম হয়েছিল সকলের। জানা গিয়েছে, একটি ঝোপঝাড়ের মধ্যে ওই ব্যাগ রাখা ছিল। তার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তির ওই ব্যাগ নজরে এসেছিল। তিনিই সকলকে গোটা ব্যাপারটা জানান যে এলাকায় সিংহ দেখা গিয়েছে। আর এসব খবর চাউর হতে বিশেষ সময় লাগে না। সেই জন্যই হু হু করে গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল এই খবর।

কিন্তু কে ওই সিংহের মুখ আঁকা ক্যারিব্যাগ ওখানে রেখেছিল? শেষ পর্যন্ত সামনে এসেছে আসল ঘটনা। জানা গিয়েছে, যে বাড়ির সামনে ঝোপঝাড়ের মধ্যে ওই সিংহের মুখ আঁকা ক্যারিব্যাগ রাখা ছিল, ওই বাড়ির মালিকই সেটা রেখেছিলেন। কারণ বাড়ির মালিক বাড়ির সামনে অ্যাভোকাডো গাছের চারা লাগিয়েছিলেন। কেউ যাতে ওই চারার ক্ষতি করতে না পারলে সেজন্য ওই নিখুঁত ভাবে সিংহের মুখ আঁকা ক্যারিব্যাগ রেখে দিয়েছিলেন বাড়ির মালিক। আর সেটা দেখেই সিংহ ভেবেছিলেন এলাকাবাসী। পরে অবশ্য বোঝা যায় সবটাই ভুয়ো। আসলে পশুরাজের নাম-নিশান কিছুই দেখা যায়নি ওই এলাকায়। শুধুমাত্র পথচলতি লোকজন যাতে গাছের ক্ষতি করতে না পারে সেই জন্যই এক কীর্তিকলাপ করেছিলেন ওই বাড়ির মালিক।