Viral Video: সিনেমার পর্দা থেকে বেরিয়ে বাস্তবে মঞ্জুলিকার আগমন! হোটেলে চাপা ভয়, নেটপাড়ায় হাসাহাসি
Manjulika Prank Video: হোটেলের এক কোণে বিছানার সাদা ধবধবে চাদর পরে ও খোলা চুলে লুকিয়ে ছিলেন এক মহিলা। তারপরই দেখা গেল, তিনি এক-এক করে সেই হোটেলে বিভিন্ন মানুষের সামনে গিয়ে ওই পোশাকে ভয় ধরানোর চেষ্টা করে চলেছেন।
‘ভুল ভুলাইয়া’ ছবির কথা যদি মনে থাকে, তাহলে মঞ্জুলিকা-কে অবশ্যই মনে থাকবে। ভেবে দেখুন তো একবার, আপনি একটা পুরনো বাড়িতে গেলেন বা পুরনো কোনও হোটেলে গিয়ে রাত্রি যাপনের চিন্তাভাবনা করেছেন। আর সেই বাড়িতেই হুট করে দেখলেন ‘আমি মঞ্জলিকা…’ আওয়াজটা ভেসে আসছে। ভয় ধরবে তো নাকি? ধরতে বাধ্য। কেউ প্র্যাঙ্ক করছে বা অন্য কিছু আপনার মাথাতেই আসবে না। ঠিক সেই রকমই এক কাণ্ড ঘটে গেল। তার থেকেও মজাদার ব্যাপার হল, সেই মঞ্জুলিকার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে।
টুইটারে পৃষা নামের এক ব্যবহারকারী ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন, যা খুবই ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “মঞ্জলিকার মতো পোশাক পরে ভরতপুরের বাসিন্দাদের ভয় দেখাতে এলেন ইনি। তারপরে কী হল দেখুন একবার…।” একদিন আগেই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়। প্রায় 50 হাজারেরও বেশি ভিউ হয়েছে এই ভিডিয়োর। লাইকও পড়েছে প্রায় কয়েক হাজার।
Dressed up as monjulika to scare the residents of Bharatpur & this is how it went ? pic.twitter.com/K4v8Oii00U
— prisha. (@prishafknwalia) January 8, 2023
ভিডিয়োটা শুরু হতেই দেখা গেল, হোটেলের এক কোণে বিছানার সাদা ধবধবে চাদর পরে ও খোলা চুলে লুকিয়ে রয়েছেন এক মহিলা। তারপরই দেখা গেল, তিনি এক এক করে সেই হোটেলে বিভিন্ন মানুষের সামনে গিয়ে ওই পোশাকে ভয় ধরানোর চেষ্টা করে চলেছেন। শুধু তাই নয়। ‘ভুল ভুলাইয়া’ ছবির ডায়লগও বলছেন তিনি। তাঁর এই মজাদার কাণ্ড দেখে, কেউ ভয়ে আঁতকে উঠছেন তো কেউ আবার থ হয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছেন।
ভিডিয়োটি দেখার পরে মজাদার সব মন্তব্য করেছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। একজন লিখছেন, “একটা চাদরে পা দিয়ে আপনি হাঁটলেন কীভাবে, নাকি পড়ে না যাওয়ার ভান করে গেলেন।” অন্যজন বললেন, “এরকম মেথড অ্যাক্টর আমি জীবনে দেখিনি।” আর একজন যোগ করলেন, “উনি তো সত্যিই ভূতের মতো জীবনযাপন করছেন বলে মনে হল।” চতুর্থ ব্যক্তির মন্তব্য, “যে যাই বলুক না কেন! আমার তো বেশ ভয় লেগেছিল।” শেষে আর একজন এরকমই কিছু করার কথা ভেবে লিখলেন, “এই আইডিয়াটার জন্য ধন্যবাদ। আমিও চেষ্টা করব বাড়িতে।”
তবে সবাই কিন্তু এই ভিডিয়ো নিয়ে হাজি মজা করতে চাইছেন না। কেউ কেউ আবার এই ধরনের প্র্যাঙ্ক ভিডিয়ো নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি জানিয়েছেন। প্র্যাঙ্ক যে অনেক সময় মানসিক ভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে সেই কথাটা মনে করিয়ে দিয়ে একজন বলছেন, “এতটাও খোরাক হিসেবে এই ভিডিয়োটা নেবেন না। কারও যদি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে যায়, কী করবেন তখন। সবকিছু সবসময় মজার না-ও হতে পারে।”