রায়গঞ্জ: আবারও শিশু কন্যাকে ধর্ষনের অভিযোগ। এবারে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) রায়গঞ্জ শহরের ৮নং ওয়ার্ডের শক্তিনগর এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক নাবালকের বিরুদ্ধে। শিশু কন্যাটি তার বাড়িতে গেলে তাকে একা পেয়ে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ। শিশুটির চিৎকার শুনে মা ডাকাডাকি শুরু করতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে আসে শিশুটি। শুরুতে মায়ের কাছে সব ঘটনা খুলেও বলতে পারেনি সে। তখনই মা দেখেন গোপনাঙ্গ থেকে অঝোরে রক্ত পড়ছে। তড়িঘড়ি তাকে রায়গঞ্জ মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে এই ঘটনায় রীতিমত তীব্র আতঙ্কিত শিশুর পরিবার। তবে পাশে রয়েছেন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তর শাস্তির দাবীতে সড়ব প্রতিবেশীরা। বর্তমানে শিশুটি রায়গঞ্জ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ আটক করেছে বলে জাবা যাচ্ছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিবেশী যুবক রাহুল দাস বলেন, “আমি কাজে গিয়েছিলাম। দুপুরে প্রথম খবরটা পাই। যার সঙ্গে এটা ঘটেছে তাঁর ঠাকুমা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়িতে রান্নার কাজ করে। ছোট থেকে আমরা তাঁর কাছেই মানুষ। উনি দুপুরে ফোন করে আমাদের কাছে কান্নাকাটি করেন। খুলে বলেন গোটা ঘটনা। আমি বিকালে হাসপাতালে এসে দেখি চিকিৎসার বদলে শুধু ঘোরানো হচ্ছে। অবশেষে রাত ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ ভর্তি করা হয়”।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যে সময় এ ঘটনা ঘটে সেই সময় শিশু কন্যাটির ঠাকুমা বাড়িতে ছিলেন না। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি কিছু টেস্ট করাতে প্যাথলজি সেন্টারে যান। ওই সময় শিশু কন্যাটির মা স্নানে ঢুকেছিল। তখন পাশের বাড়ির এক মহিলা বাচ্চাটিকে নিয়ে যায়। যে মহিলা তাকে নিয়ে যায় তাদের বাড়ির সঙ্গে শিশু কন্যাটির বাড়ির সুসম্পর্ক রয়েছে। এমনকী ওই মহিলাকে পিসি বলে ডাকত শিশু কন্যাটি। তাই মা-ঠাকুমা ব্যস্ত থাকায় ওই মহিলা দেখভালের জন্যই শিশুটিকে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেই ঘটে যায় এউ নারকীয় ঘটনা।