Hanuman Jayanti : বাংলায় বসছে হনুমানের বিশালাকার মূর্তি, বড় ঘোষণা মোদীর
Hanuman Jayanti : মোদির দাবি, এই কাজকে শুধুনাত্র হনুমান মন্দিরে স্থাপনা হিসাবে দেখলে হবে না, এটা আদপে 'এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত' তৈরির সংকল্পের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
নয়া দিল্লি : গুজরাত, হিমাচল প্রদেশের পর এবার বাংলাতেও বসতে চলছে ভগবান হনুমানের বিশালাকার মূর্তি(Statue of Hanuman in Bengal)। শনিবারই গুজরাতের (Gujrat) মরাবি থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। ভগবান হনুমানের চারধাম প্রকল্পের অধীনে দেশের চার দিকেই হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে। সেই উপলক্ষেই এদিন মরাবিতেও একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়। তবে এদিন উদ্বোধন করা মূর্তিটি হবে এই প্রকল্পের দ্বিতীয় মূর্তি। এদিকে ভগবান হনুমানের চারধাম প্রকল্পের প্রথম মূর্তিটি ২০১০ সালে হিমাচল প্রদেশের সিমলায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। গুজরাতের মরাবির মূর্তিটি এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এরপরের মূর্তিটি দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বরে প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। তারপরেই পালা রয়েছে বাংলার। এদিকে মোদীর এই ঘোষণার পরেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
যদিও এদিন মরাবির গোটা অনুষ্ঠানেই দিল্লি (Delhi) থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মোদী। সেখান থেকেই তিনি বলেন, ‘এই ধরনের মূর্তি সিমলায় অনেক বছর ধরেই রয়েছে। আজ মরাবিতে এরকম আরও একটি মূর্তি স্থাপন করা হল। আমি যতদূর জানি রামেশ্বরম এবং পশ্চিমবঙ্গেও আরও এই ধরণের দুটি মূর্তি বসানো হবে। বর্তমানে গোটা দেশেই বিভিন্ন ভাষায় রাম কথা শোনানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ভিন্ন ভাষাভাষীর এই দেশে সাধারণ মানুষের ভাষা যাই হোক না কেন, রাম কথা সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে আসে, ঐক্যবদ্ধ করে, ভগবানের প্রতি ভক্তি আসে সকলের মনে। এক অন্য ধারার যোগসূত্র তৈরি হয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এটাই আসলে আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি, সভ্যতা, ঐতিহ্যে, আধ্যাত্মিকতার মূল শক্তি৷ তাই এটা ভুলে গেলে চলবে না।’ একইসঙ্গে মোদির দাবি, এই কাজকে শুধুনাত্র হনুমান মন্দিরে স্থাপনা হিসাবে দেখলে হবে না, এটা আদপে ‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’ তৈরির সংকল্পের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। হনুমানজিই আসলে ‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারতের’ অন্যতম প্রধান যোগসূত্র বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা ভোট রয়েছে গুজরাতে। এদিকে গুজরাত বরাবরই মোদী গড় হিসাবেই পরিচিত। তাই ভোটের আগে মোদির মূর্তি স্থাপনা যে গুজরাতের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে হিন্দোল তুলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের দেশব্য়াপী হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির আইকন হিসাবে বরাবরই দেখা গিয়েছে হনুমানের মুখকে। এবার সেই ভগবান হনুমানের বিশালাকার মূর্তি বাংলার বুকে প্রতিষ্ঠা হলে তা যে নতুন করে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতরের কারণে হবে তা অনুমান করতে পারছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে চারধাম প্রকল্পে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের নাম জুড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই ফের তা রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বাংলা। শেষ বিধানসভা নির্বাচন হোক বা লোকসভা, বিজেপির ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে বরাবরই বিতর্ক দানা বেঁধেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। সেখানে এবার সরাসরি মোদীর মুখে বাংলায় হনুমান মূর্তির ঘোষণা নিয়েই চলছে জোরদার চর্চা।
আরও পড়ুন- ‘২৫ বছরেই ঘুচবে বেকারত্বের জ্বালা,’ হনুমান জয়ন্তীতে নতুন দিশা মোদীর