পূর্বস্থলী: অকাল বৃষ্টিতে পাকা ধানে পড়েছে মই, একইসঙ্গে দফারফা হয়েছে আলু চাষেরও। এদিকে গোটা রাজ্যের মধ্যে শীতের শুরুতে সবথেকে বেশি আলু চাষ দেখা যায় হুগলি (Hooghly), বর্ধমানের (Bardhaman) বিস্তৃর্ণ এলাকায়। কিন্তু, বিগত দুই দিনে লাগাতার বৃষ্টিতে সদ্য বসানো আলু বীজে পচনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে এবার ঠান্ডা সেইভাবে না পড়ায় আলুর (Potato Farming) ঠিকঠাক ফলন নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু ক্ষতিপূরণের দাবি। এরইমধ্যে চাষে বিশাল ক্ষতির সম্মূখীন হয় একদিন আগে আত্মহত্যা দেখা করতে দেখা গিয়েছিল খানাকুলের এক কৃষককে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই একই ছবি ফিরল পূর্বস্থলীতে। আম গাছে ঝুলল কৃষকের দেহ। পরিবারের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। চাষের ক্ষতির কারণেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
মৃত কৃষকের নাম সনাতন ঘোষ। বয়স ৪৭। তাঁর বাড়ি পূর্বস্থলী দুই ব্লকের নিমদহ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ছাতনি উত্তরপাড়া এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু, বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তাঁর জমির সব আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাতেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। চাষে ক্ষতির জন্য বাড়িতে বারবার আক্ষেপও করছিলেন।
এরইমধ্যে মধ্যে এদিন বাড়ির পাশেই আম গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। খবর গিয়েছে পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে একদিন আগে খানাকুলে যে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে তাঁর নাম তরুণ পালুই(৩৭)। বাড়ি খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ এলাকার। পরপর দুই দিন আলু চাষে ক্ষতির জেরে দুই কৃষকের আত্মহত্যায় চাপানউতোর শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে, চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলেও।