কলকাতা: প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তৃণমূলে (TMC) যে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছিল, বিজেপিতেও (BJP) যেন হুবহু তারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ। সোমবার সকাল থেকেই বিজেপির হেস্টিংসের কার্যালয়ের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সেই অসন্তোষ বর্তমান। এই সবকিছুর মধ্যেই এ বার দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Jay Banerjee)।
টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নতুন দলে যোগ দিয়ে টিকিটও পেয়ে গিয়েছেন। তবে টিকিট না পাওয়ার কারণে ক্ষোভও চোখে পড়ার মতো। ভোটের আগে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েও টিকিট না মেলায় গতকালই দলত্যাগ করেছিলেন রাজনীতির চর্চিত যুগল শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার ‘বেসুরো’ হলেন জয়।
রাজ্যের প্রথম সারির বিজেপি নেতাদের মধ্যে তাঁর নাম না গণ্য হলেও টলিউডের মুখ হিসেবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। প্রায়শই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যও তাঁকে করতে শোনা গিয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনিও টিকিট পেতে পারেন বলে জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে গতকাল বিজেপির তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যায়, তাতে জয়ের নাম নেই। তারপরই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটান এই অভিনেতা-রাজনীতিক।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থী আব্বাসের ভাই! অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার
এ দিন হেস্টিংসে উপস্থিত হয়ে দীর্ঘক্ষণ রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়। সেখান থেকে বেরিয়ে জানান, “টিকিট না পাওয়ায় দুঃখ পেয়েছি। আমি বন্ধু হিসাবেও যেমন উপকারী, শত্রু হিসাবেও খুব বিপজ্জনক।” তিনি আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদী আমার রামকৃষ্ণ। ওনার পায়ের তলায় আমি বিজেপিতে থাকতে চাই। কিন্তু যদি বাধ্য হয়ে আমায় মঞ্চ পরিবর্তন করতে হয় তাহলে খুবই দুঃখজনক। কেউ যদি মনে করে আমার মূল্য নেই, অন্তত একজন অভিনেতা হিসাবেও, তাহলে এটা খুব দুঃখজনক। আমি শেষ দিন পর্যন্ত বিজেপিতে থাকতে চাই। কিন্তু উপরে কী লেখা আছে কেউ জানে না।”
আরও পড়ুন: ফের ভয় বাড়াচ্ছে করোনা, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নমো
উল্লেখ্য, জয় দীর্ঘ সময় ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাঁর স্ত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা শহরের নামজাদা তৃণমূল কাউন্সিলর। ফলে অন্য মঞ্চ পরিবর্তন বলতে তিনি শাসকদল তৃণমূলের দিকে ইঙ্গিত করেছেন কিনা সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।