
ক্যানিং: গতকাল চাকরি বাতিল এক রাত পেরতেই আত্মহত্যার চেষ্টা। সুপ্রিম-রায়ের পর ‘হতাশায়’ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ক্যানিংয়ের এক শিক্ষিকা। শুক্রবার সকাল থেকেই হইচই পড়েছে ক্যানিংয়ের নবপল্লি এলাকায়। স্নায়ু চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্থানীয় রায় বাঘিনী হাই স্কুলের শিক্ষিকা রুম্পা সিং। সেই স্কুলে তিনি ইতিহাস পড়াতেন। কিন্তু গতকালের সুপ্রিম-রায়ে রুম্পার ‘পড়ানোর পেশায়’ বাঁধ পড়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি চাকরি চলে যাওয়ার খবরটাও জেনে গিয়েছে পাড়া-প্রতিবেশী। জেনে গিয়েছে, পাওনাদারেরাও। এমনকি, খবর পেতেই তারা হাজির হয়েছিল শিক্ষিকার বাড়িতেও। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট থেকে জানা গিয়েছে, পাওনাদারেরা বাড়িতে হানা দিয়ে টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে শিক্ষিকার উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করে। অভিযোগ, তাঁর উপর কার্যত ‘মানসিক নির্যাতন’ চালায় তারা।
তারপরেই সেই স্নায়ুচাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রুম্পা। তবে কি চাকরি খুইয়েই বাঁচার রসদটাও হারিয়ে ফেলেন তিনি? শিক্ষিকার পরিবারের দাবি, স্বামীর চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু পরিমাণ টাকা ধার নিয়েছিলেন রুম্পা। চাকরি বাতিলের খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই বাড়িতে পাওনাদাররা টাকা নিতে চলে আসে, তারপরেই এমন কাণ্ড। আপাতত, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রুম্পা।
তাঁর স্বামী অনিমেষ জানা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ওঁর চাকরি গিয়েছে। কিছু লোক টাকা পেত, কিন্তু খবর আসতেই ওরা বাড়িতে হানা দেয়। ওকে উল্টোপাল্টা বলে। তারপরেই সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা চেষ্টা করে।’