মুর্শিদাবাদ: রাত পোহালেই দেশজুড়ে শুরু হবে ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) পালনের অনুষ্ঠান। আর তার আগেই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনি। একাধিক সূত্র মারফত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি বাংলাজুড়ে নাশকতা চালাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে ছয় জেএমবি জঙ্গি (JMB Terrorist)। সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ দুর্গাপুর, আসানসোল, হলদিয়া, হাওড়া, শিলিগুড়ির মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে হামলা চালানো তাদের উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার দেওয়া এই তথ্যে স্নায়ুর চাপ বাড়ল রাজ্য প্রশাসনের।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা মুর্শিদাবাদ দিয়ে বাংলায় ঢুকে পড়েছে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’র ছয় জঙ্গি। তবে তাদের পরিকল্পনা কী, রাজ্যের ঠিক কোথায় কোথায় হামলা হতে পারে সে বিষয়ে সবিস্তারে কিছু তথ্য জানতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনি। অনুমান করা হচ্ছে, মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা এই জেএমবি জঙ্গিদের লক্ষ্য বাংলার বড় শহরগুলি। সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ দিয়ে প্রবেশ করা এই জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য হতে পারে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কোনও রেলস্টেশন। সেখানে নাশকতা চালানোর পাশাপাশি কলকাতা, দূর্গাপুর, আসানসোল, হলদিয়া, হাওড়া, শিলিগুড়ির মতো রাজ্যের বড় ও গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে হামলার ছক হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে দিল্লি। এই প্রেক্ষিতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে ভাগলপুর, ফারাক্কা জঙ্গিপুর সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনে। আরপিএফ ও জিআরপি যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন স্টেশন চলছে বাড়তি নজরদারি ও চেকিং।
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ‘অনুপ্রবেশ’ কীভাবে! খতিয়ে দেখবে বিজেপি
তবে এই জেএমবি জঙ্গিরা এখন কোথায় গা ঢাকা দিয়ে আছে, এখনই তার কোনও তথ্য সামনে আসেনি। বাংলায় প্রবেশের পর জেএমবি জঙ্গিদের গতিপ্রকৃতি কী, তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলি দিয়ে রাজ্যে ঢুকে গোপন আস্তানা তৈরি করছে জঙ্গিরা, একাধিকবার এমন তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনি। কয়েক মাস আগেই গোয়ান্দাদের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, বাংলায় আল-কায়েদার বিস্তারের পিছনেও সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত।
আরও পড়ুন: ‘দেবলীনা, সায়নীকে ছুঁয়ে দেখা, কী অবস্থা করি’, হুঙ্কার মমতার