শিলিগুড়ি: আচমকা অন্ধকারের বুক চিরে আকাশে দেখা গেল আলোর মালা। শুক্রবার রাতে এমন দৃশ্য দেখে চমকে গেলেন উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, রাতের আকাশে মহড়া চালিয়েছে বায়ুসেনা (Air Force)। হাসিমারা ও বাগডোগরা এয়ারবেস থেকে সেই মহড়া চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সন্ধ্যার পর থেকে আকাশে আলোকমালার দেখা পাওয়া যায়। বায়ুসেনার তরফে মহড়ার কথা জানানো হয়েছে। রাফাল, সুখোই সহ নানা বিমান নিয়ে মাঝ আকাশ কার্যত দাপিয়ে মহড়া করা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে। রয়েছে অ্যাপাচে হেলিকপ্টারও। চিন সীমান্তের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই মহড়া চালানো হয়েছে। অধিক উচ্চতায় বিমান নিয়ে মহড়ায় মেতেছেন বায়ুসেনার আধিকারিকেরা। গত ১১ দিন ধরেই চলছে এই মহড়া।
শুধুমাত্র বায়ুসেনা নয়, চিকেন নেক সহ গোটা উত্তরবঙ্গ রক্ষা করতে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে স্থলসেনাও। কয়েকদিন আগেই আরও একটি মহড়া হয়েছে শিলিগুড়ির তিস্তা রেঞ্জে। ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা ছাড়াও সেই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল সিএপিএফও। চিনের ওপর নজর রাখতেই পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম সীমান্তে এই মহড়া চালানো হচ্ছে। নানা রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই মহড়া চলার কথা।
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, শুধুমাত্র হাসিমারা নয়, অসমের তেজপুর এয়ারবেসেও চলছে মহড়া। রাফাল, সুখোই ছাড়াও মহড়ায় অংশ নিয়েছে এমকেআই যুদ্ধবিমান, সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফট।
চলতি সপ্তাহেই তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জে সর্ববৃহৎ বায়ুসেনা এবং স্থলসেনার যুদ্ধ মহড়া হয়। আধুনিক ট্যাঙ্ক থেকে মিসাইল ব্যাটারি সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে সেই মহড়ায়। বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্স “গড়ুর” এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছি “ত্রিশক্তি প্রহার”।
সম্প্রতি ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাণা প্রতাপ কলিতা শিলিগুড়ি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। শিলিগুড়ি যে চিনের সবথেকে বেশি নজরে রয়েছে, তা সাংবাদিক বৈঠকে পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন ওই সেনাকর্তা। আর তারপরই এই মহড়া।