আলিপুরদুয়ার: বাইসনের শিকার (Bison Poaching) করে মাংস বিক্রির চেষ্টা। আর সেই অভিযোগেই পাকড়াও করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) পানা রেঞ্জ এলাকায়। গোপন সূত্র মারফত বনকর্মীদের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকায় বাইসনের মাংস বিক্রি করার চেষ্টা চলছে। সেই মতো রবিবার পানা রেঞ্জ এলাকায় হানা দিয়েছিলেন বনকর্মীরা। আর সেই অভিযানে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। ধৃতদের নাম সন্তবাহাদুর রায় (৩৪) ও সুখমান রাই (৬৫)। জানা যাচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তি পানা রেঞ্জের অধীন সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের (পানা বিভাগ) বাসিন্দা। ধৃতদের থেকে স্বল্প পরিমাণের বাইসনের মাংসও উদ্ধার হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রথমে বাইসনটিকে মেরে তার মাংস খাওয়া হয়েছে এবং তারপর বাকি থাকা মাংসটুকু বিক্রির চেষ্টা চলছিল।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি ট্র্যাকিং ডগ বন্দুকের সাহায্যে বাইসনটিকে মারা হয়েছে। সেই সঙ্গে শিকারের কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃত দুই অভিযুক্তকে সোমবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছিল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা পরভীন খাসোয়ান জানিয়েছেন, আদালত অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি মৃত ওই বাইসনের দেহের ময়নাতদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরদুয়ার আদালত।
গ্রেফতারির পর ওই দুই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে বন দফতর। অভিযুক্তদের জেরা করে জানা ওই বাইসনটিকে কোথায় মারা হয়েছিল, সেই সব তথ্য খুঁজে বের করেন বন দফতরের আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও এক ব্যক্তি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ওই অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিকে বাইসনের মাংস বিক্রির চেষ্টার খবর চাউর হতেই এলাকায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ, এই দুই ব্যক্তির গ্রেফতারি বন দফতরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বলেই মনে করছে।