
আলিপুরদুয়ার: এত বড়! সত্যি? জমাইষষ্ঠীর সকালে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে চোখ ছানাবড়া করে এমনটাই বলে উঠলেন অনেকে। জালে উঠেছে বিশলাকৃতির এক আড় মাছ। ইলিশের আগুনে দামের মাঝে এই বাঘা আড় কিনতেই রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গেল আলিপুরদুয়ারে সংকোশ নদীর পাড়ে। মৎস্যজীবীরা বলছেন মাছটির ওজন প্রায় সাড়ে ৪৫ কেজির কাছাকাছি। অনেক দর কষাকষির পর শেষ পর্যন্ত ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হল এই বিশাল মাছ।
প্রসঙ্গত, গ্রাম বাংলার নদীতে বর্ষায় এই আড় মাছ প্রায়শই দেখা যায়। বর্ষা ছাড়াও অন্য ঋতুতেও প্রায়শই ধরা পড়ে। কিন্তু, তাই বলে এক্কেবারে ৪৫ কেজির আড় মাছ শেষ কে কবে কোথায় দেখেছেন মনে করতে পারছেন না কেউই। মৎস্যজীবীরা বলছেন, পাকা মাছের স্বাদ এমনিই অন্যরকম হয়। আর এই আড় মাছের যা ওজন তাতে এর স্বাদ যে অতুলনীয় হবে তা বলাই বাহুল্য। এদিকে সংকোশের জলে চার ফুট লম্বা এই বিশাল মাছ ধরা পড়া খবর চাউর হতেই রীতিমতো ভিড় জমে যায় বাংলা সীমান্তের পাকরিগুড়ি এলাকায় ওই নদীর ঘাটে।
রোজকার মতো এদিনও জাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে নেমেছিলেন স্থানীয় মৎস্যজীবী সিদ্দিকী মিঞাঁ। কিন্তু, তিনি কী আর জানতেন তাঁর ভাগ্যেই এদিন শিকে ছিঁড়তে চলেছে। কিছু সময়ের মধ্যে দেখা যায় তাঁর জালেই পড়েছে এই ৪৫ কেজি আড়! অনেকের সঙ্গে দরাদরির পর শেষ পর্যন্ত আব্দুল হাই নামে এক মাছ ব্যবসায়ী মাছটি কিনে নিয়ে যান। নিয়ে যাবেন অসমের কোকরাঝাড় জেলার সাপকাটা এলাকায়। সেখানে হবে বিক্রি। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলছেন, এর আগেও বেশ কিছু আড় মাছ এখানেই ধরা পড়েছিল। তবে সেগুলির ওজন ৪ থেকে ৫ কেজির বেশি ছিল না।