আলিপুরদুয়ার: তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ। আর এ নিয়েই এখন সরগরম আলিপুরদুয়ার শহর। আলিপুরদুয়ারে এবার জমি দখলের অভিযোগ উঠল শাসক দলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তিনি আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী শঙ্কর মিত্রের ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে তিনি এর বিচার চাইছেন।
আইনজীবী শঙ্কর মিত্র বলেন, “কয়েকজন গুন্ডাকে এনে আমার জমির উপর খুটি লাগিয়েছেন।পুলিশের উপস্থিতিতে জমি দখল করেছেন কাউন্সিলর। এমনকি ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছেন।” তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দীবাকর পাল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কাউন্সিলর বেআইনি বালি পাথরের ব্যবসা করেন। আবাস যোজনার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর নিজস্ব জমিতে এভাবে জোর করে খুঁটি লাগিয়ে দখল করার বিষয়টি তিনি পুলিশ প্রশাসনকেও জানিয়েছেন।
ওই কাউন্সিলরের আশ্রিত গুন্ডা বাহিনী রিভলবার নিয়ে এসে বাড়ির সামনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে ওই আইনজীবীর অভিযোগ। এ নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন শঙ্কর। তিনি বলেন, “এরকম হলে তো আমাকে আলিপুরদুয়ার ছেড়ে চলে যেতে হবে।” তাঁর আক্ষেপ, “এরকম হলে আমি আলিপুরদুয়ার ছেড়ে চলে যাব। ওরাই জমি ভোগ করুক।পুলিশের উপর আর ভরসা নেই বলে আইনজীবীর বিস্তর ক্ষোভ।”
আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীবাকর পাল এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “টাকা চাওয়া হয়েছে এটা উনি প্রমাণ দিক। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করা হচ্ছে। আমি জানি না এই ঘটনা। আমার দুটো গাড়ি আছে। আমি বালি পাথরের ব্যবসা করি। আমাকে তো বাঁচতে হবে।আমার তো সংসার আছে। আমি বিষয় টি নিয়ে আইনের পথে যাচ্ছি।”
জানা গিয়েছে, নিউ আলিপুরদুয়ারে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্ষীয়ান আইনজীবী শঙ্কর দত্তের ৬৭ ডেসিমেল জমি রয়েছে। এই জমিটিকে নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। আইনজীবী জানান, আগে এই জমি চাষাবাদ হত। এখন প্লট হিসাবে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দলবল নিয়ে এসে ১০ ডেসিমেল জায়গা দখল করেছেন। খুটি পুঁতে বাঁশ দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। এই জমি দখল মুক্ত করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। ফোন করেও হুমকি দিচ্ছেন। শাসক দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় এখন সরগরম আলিপুরদুয়ার। এ নিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।