
আলিপুরদুয়ার: শ্মশানঘাটের পাশের রাস্তা। খুব একটা বেশি সেই রাস্তায় চলাফেরা করেন না কেউ। প্রয়োজনও পড়ে না। সকালে বিশেষ প্রয়োজনে যাচ্ছিলেন কয়েকজন। চোখ পড়ে মাটিতে পড়ে থাকা শুকনো পাতার ঝোপে। সেখানেই পড়েছিল নিথর শরীর। পূর্ণ বয়স্ক এক চিতাবাঘের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট রেঞ্জের জটেশ্বর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলাগাঁও শ্মশান ঘাটের পাশ দিয়ে দেহটি উদ্ধার হয়।
গ্রামের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, চিতাবাঘটি যে মৃত, তা তাঁরা প্রথমে বুঝতে পারেননি। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে তাঁরা বোঝেন, চিতাবাঘের শরীরে কোনও সার নেই। এরপর গ্রামে খবর চাউর হয়ে যায়। খবর যায় বনদফতরেও। বনদফতরের জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা ও জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বনদফতরের আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, এটা কোনও স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। সম্ভবত আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘের। দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে সেটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে কোনও গাড়ির ধাক্কাতেও চিতাবাঘটি আহত হতে পারে। পরে রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন পশু বিশেষজ্ঞরা।
আলিপুরদুয়ার জেলার উত্তর দলগাঁও বস্তি এলাকা থেকে মাস খানেক আগে মাঝবয়সি এক পুরুষ চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় বিস্তর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, বদলা নিতেই চিতাবাঘটিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। কারণ ওই এলাকায় চিতাবাঘের হামলায় একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছিল। তা থেকেই এমন একটি তত্ত্ব উঠে এসেছিল।