আলিপুরদুয়ার: রাতের বেলায় ঘরের বাইরে অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন। কিন্তু জঙ্গল ঘেরা গ্রামে রাতবিরেতে এরকম আওয়াজ আগেও শুনেছেন তাঁরা। তাই প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি। সকালে উঠে ঘরের দরজা খুললেই পায়ের ছাপ দেখতে পান বাড়ির কর্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের রাধানগর গ্রামে ছড়াল চিতাবাঘের আতঙ্ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার রাতে আওয়াজ শুনতে পান রাধানগরের বাসিন্দা প্রশান্ত রায়। ভয়ে দরজা খুলে বের হননি। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, দরজার নীচের ফাঁক থেকে কোনওভাবে মাটিতে শুয়ে উঁকি মেরে দেখেছিলেন কী রয়েছে বাইরে। দেখেন জ্বলজ্বল করছিল চোখ! সকালে প্রশান্তর স্ত্রী উঠোন ঝাড় দেওয়ার সময় বাড়ির অনাচে কানাচে বন্য জন্তুর পায়ের ছাপ লক্ষ্য করেন । ছোট এবং বড় দুই ধরনের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে বাড়ির উঠোনে। তাই সকলেরই অনুমান বাচ্চা সমেত লোকালয়ের আসেপাশে ঝোপঝাড়েই লুকিয়ে রয়েছে চিতাবাঘ।
এদিন সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট বাড়িতে গ্রামের মানুষেরা দলে দলে ভিড় করছেন চিতার পায়ের ছাপ দেখতে । অতঙ্কে রয়েছেন প্রশান্তের পরিবারের সদস্যরা। গ্রামবাসীদের দাবি, বনদফতর যাতে এলাকায় ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি চালায়। এরপর ভল্কা রেঞ্জের কর্মীরা পায়ের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করে অনুমান করেছেন চিতাবাঘেরই পায়ের ছাপ হতে পারে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বনকর্মীরা রাতপাহারায় থাকছেন।
গ্রাম জুড়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকায়। প্রশান্ত বলেন, “রাতেই আওয়াজ শুনেছিলাম। ভয়ে আর বাড়ির বাইরে বের হয়নি। সকালে উঠে আমার স্ত্রী দেখে এই পরিস্থিতি। জঙ্গল ঘেরা গ্রামের মধ্যে থাকি। বনদফতরকে এই বিষয়টি ভাল করে দেখতে হবে।”