আলিপুরদুয়ার: ঘরের সামনেই গোয়ালঘর। রাখা থাকত বাড়ির পোষ্য ছাগলটাকে। ভোর থেকেই তাঁর গলার স্বর শুনেই ঘুম ভাঙে বাড়ির সদস্যদের। কিন্তু এদিন অন্যথা হয়েছিল। বাড়ির কর্ত্রী শুনতে পাননি তাঁর পোষ্যের ডাক! সন্দেহ হয়েছিল। তবুও তখন বিশেষ আমল দেননি। সকালে ঘরের কাজ সেরে যখন গোয়ালঘরের দিকে যান, বুকটা ছ্যাৎ করে ওঠে তাঁর। পরে রয়েছে গলায় বাঁধা দড়িটা। ফাঁকা গোয়ালঘর। তারপর গোয়ালঘরের বাইরে কাদা মাটিতে দেখতে পেয়েছিলেন বাড়ির সদস্যরা। সন্দেহ গাঢ় হয়। ফের চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াল ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগান এলাকায়।
সোমবার রাতে সংশ্লিষ্ট চা বাগানের রোড লাইনের ঘটনা। বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে চিতাবাঘই ছাগল টেনে নিয়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের রোড লাইনের বাসিন্দা অজিত খাড়িয়ার। অনুমান, সোমবার রাতে ওই ব্যক্তির বাড়ির গোয়াল ঘরে ঢুকে পড়ে একটি চিতাবাঘ। এরপর সেখান থেকে একটি ছাগল তুলে নিয়ে যায় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বারবার গ্রামে চিতাবাঘা ঢুকছে। চিতাবাঘের হামলা থেকে বাঁচতে বন দফতরকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এর আগে তাসাটি চাবাগানে চিতাবাঘের আক্রমণে এক বৃদ্ধারও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জখম হয় দুই কিশোর।
সে সময়ে বনদফতরের উদ্যেগে খাঁচা পাতা হয়। একটি পূর্নবয়স্ক চিতাবাঘও ধরা পড়ে।ওই এলাকায় আরও চিতাবাঘ রয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ফের চিতাবাঘের আতঙ্ক শুরু হয়েছে এলাকায়। বনদফতরকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে।