আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে মেডিক্যাল কলেজ ইস্যুতে জোর তরজা তৃণমূল ও বিজেপির অন্দরে। এবার আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা এসজেডিএ’র (Siliguri and Jalpaiguri Development Authority) চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বিরোধ এখন তুঙ্গে। যদিও রাজনীতির আকচাআকচি চললেও মেডিক্যাল কলেজ আদৌ আলিপুরদুয়ারের মানুষ পাবেন কি না তা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না শাসক-বিরোধী কোনও শিবিরই। জন বার্লার বক্তব্য, প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ করতে চাইছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকার যদি জমি দেয় ভাল। না হলে রেলের জমিতে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হবে। যদিও প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর দাবি, কেন্দ্র সরাসরি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করবে, এমন কোনও খবর তাঁদের কাছে নেই।
জন বার্লার বক্তব্য, “প্রতিটি জেলায় আমরা মেডিক্যাল কলেজ করব। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে কিছু একটা করব। রাজ্য সরকার জমি দিলে ভাল। না হলে রেলের সঙ্গে কথা বলব। রেলের জমিতেই মেডিক্যাল কলেজ তৈরির চেষ্টা করা হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। ডিআরএমের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আগামিদিন রেলের কোনও জমি থাকলে আমরা মেডিক্যাল কলেজ করতে পারব। কেন্দ্র চাইছে এখানে উন্নয়ন হোক। আগামিদিনে এটা আমরা করব। আমরা এখানে মেডিক্যাল কলেজ করবই। রাজ্য সরকার জমি দিলে খুব ভাল। আমরা পাশে থাকব। যদি না দেয় অন্য পথে হাঁটব।”
যদিও আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি করে আমার জানা নেই। সাংসদের যোগ্যতা অনেক বেশি আমার থেকে। তবে সাংসদকে অনুরোধ করব, বাড়ির সামনে আগে একটা ড্রেন বানিয়ে দেখান। তারপর না হয় মেডিক্যাল কলেজের কথা ভাববেন। আরশোলাও যদি পাখি হয়, উনিও তা হলে মন্ত্রী। ভুললে চলবে না, প্রতি জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মেডিক্যাল কলেজ করছেন। আলিপুরদুয়ারে সুপার স্পেশালিটি আছে। কোচবিহারে মেডিক্যাল কলেজ আছে। আর রেলের জমিতে কোনওদিনই মেডিক্যাল কলেজ হয় বলে আমার জানা নেই।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য রেলের কাছে ৫ একর জায়গা চেয়েছিলাম। সেটাই রেল দিতে পারেনি। আলিপুরদুয়ারে রেল ৭০ শতাংশ কোয়ার্টার পরিত্যক্ত ঘোষণা করছে। কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে, ট্রান্সফার হচ্ছে কর্মীদের। আর উনি এসে বলছেন, এখানে মেডিক্যাল কলেজ হবে? রেলের স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিন বছরে একটা ড্রেন করতে পারেনি। মেডিক্যাল কলেজ করবে?”