
আলিপুরদুয়ার: উনুনে আঁচ দিয়েছেন সবেমাত্র, পেঁয়াজ-রসুন কষাচ্ছেন! আচমকাই দরজায় কড়া! বিপদ যে দুয়ারে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ওঁরা। মদ, আর সঙ্গে কষিয়ে মাংস খাওয়ার প্ল্যান ছিল ওঁদের। কিন্তু সবই গেল ভেস্তে। জঙ্গল থেকে হরিণ মেরে মাংস রান্না করতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও তিন চাশ্রমিক। উদ্ধার হয়েছে হরিণের মাংসও। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম কুশল কিশপোত্তা, তিনি রায়ডাক টি.জি. ৪ নম্বর লাইনের বাসিন্দা, এফ্রেম মিনজ, তিনি রায়ডাক টি.জি. ৪ নম্বর লাইন ও অনিল টোপ্পো, রায়ডাক টি.জি ৪ নম্বর লাইনের বাসিন্দা। প্রত্যেকেই চা বাগানে কাজ করেন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার সন্ধ্যা ৮ টার দিকে বিটিআর পূর্ব বিভাগের উত্তর রায়ডাক রেঞ্জের রায়ডাক চাবাগানের ৪ নম্বর লাইনে তল্লাশি চালান। সেখানেই একটি ঘরের মধ্যে হরিণের মাংস রান্না করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ওই ঘরেই তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। সেখান থেকে ওই তিন জনকে হরিণ মাংস রান্না করার সময়েই গ্রেফতার করেন বনদফতরের আধিকারিকরা। ১৯৭২ বন্যজীবন সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বনদফতর সূত্রে খবর, আদালতের অনুমতি পাওয়ার পরে, নমুনাগুলি শনাক্তকরণের জন্য কলকাতার জেডএসআই -তে পাঠানো হবে। জানা গিয়েছে, উত্তর রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার এবং টিয়ামারি বিট কর্মীরা আরও বেশি তৎপর হয়েছেন। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।