Alipurduar Traffic Police Closed: আলিপুরদুয়ারে পুলিশ কর্তার রহস্যমৃত্যুর পরই ‘ক্লোজড’ ট্রাফিক পুলিশ কর্তা

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 14, 2021 | 11:23 AM

Alipurduar Traffic Police Closed: সূত্রের খবর, পাচার কাণ্ডেই ক্লোজড আলিপুরদুয়ারের ট্রাফিক পুলিশ কর্তা দিবাকর ঘোষ। তাঁকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।

Alipurduar Traffic Police Closed: আলিপুরদুয়ারে পুলিশ কর্তার রহস্যমৃত্যুর পরই ক্লোজড ট্রাফিক পুলিশ কর্তা
আলিপুরদুয়ারে ট্রাফিক পুলিশ কর্তা ক্লোজড

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: সীমান্তে কয়লা-গরু পাচারের অভিযোগ ছিল বরাবরই। তারই মধ্যে পুলিশ কর্তার রহস্যজনক মৃত্যু। আর তাতেই নড়চড়ে বসে প্রশাসন। এবার আলিপুরদুয়ারের ট্রাকিক পুলিশ কর্তা দিবাকর ঘোষকে ক্লোজড করল প্রশাসন। সূত্রের খবর, তাঁকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। কেন তাঁকে ক্লোজ করা হয়েছে, তা নিয়ে একাধিক জল্পনা চলছে পুলিশ মহলে।

সূত্রের খবর, পাচার কাণ্ডেই ক্লোজড আলিপুরদুয়ারের ট্রাফিক পুলিশ কর্তা দিবাকর ঘোষ। তাঁকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তিনি আগে আলিপুরদুয়ার টাউনের দায়িত্ব ছিলেন। পরে তাঁর দায়িত্ব বাড়িয়ে আলিপুরদুয়ার ১-এর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর করা হয়। তাঁর দায়িত্বে ছিল আলিপুরদুয়ার ১-এর ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ এলাকা।

তিনি যে এলাকার দায়িত্বে ছিলেন সেখান দিয়ে কয়লা, গরু,সুপারি-সহ নানা জিনিস পাচারের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। এমনিতেই কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে নানান মামলায় জর্জরিত রাজ্য। তার মধ্যে সীমান্তে পুলিশ কর্তার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের নির্দেশে তাঁকে ক্লোজ করা হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ট্রাফিকের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ তেনজিং ভুটিয়াকে। যদিও পুলিশের তরফে এই নিয়ে কেউ মুখ খুলছে না।

গত ৫ তারিখ আলিপুরদুয়ারের পুলিশের নাকা চেকিং পয়েন্টের তিনশো মিটারের মধ্যে উদ্ধার জয়গাঁ থানার এএসআই রতন করের দেহ। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে, তাঁকে যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে।

মৃত্যুর আগে তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন জয়গাঁ থানার এএসআই রতন। চতুর্থ দিনে খোঁজ মেলে। হাসিমারা দশ নম্বর বিচ চা বাগান লাগোয়া ঝোপ থেকে মিলল নিখোঁজ পুলিশ কর্মীর দেহ। নিহত পুলিশকর্মীর বাড়ি কোচবিহারে। তবে কর্মসূত্রে জয়গাঁ থানার পুলিশ কোয়ার্টারেই থাকতেন বাহান্ন বছর বয়সি রতন কর। নিখোঁজ হওয়ার আগে তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল বুধবার। সে দিন দুপুর বারোটায় থানা থেকে বেরিয়ে হাসিমারা পুলিশ চেকিং পয়েন্টের দিকে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। দলসিং পাড়া পর্যন্ত বাইকেই এসেছিলেন। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই। রতন করের মোবাইল ফোনেও একাধিকবার যোগাযোহ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ফোন বন্ধ। হাজার খোঁজাখুঁজির পরও কোনও হদিশ মেলেনি তাঁর।

কেন মৃত্যু? একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তাঁর মৃত্যুর পিছনে হাত রয়েছে পাচারকারিদের। প্রসঙ্গত, এই এলাকা দিয়েই বন্য পশুর চামড়া, বিদেশি সিগারেট, কাঠ পাচার হয় ভুটানে। সেক্ষেত্রে কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে পুলিশ কর্তার মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা কিংবা পুলিশ কর্তাকে ক্লোজ করার বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে কেউই মন্তব্য করতে চাইছেন না। আলিপুরদুয়ার ট্রাফিক পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: Arambag Crime News: উপুড় হয়ে পুকুরে ভাসছিল শরীরটা, মাথার পিছনে দগদগে ঘা! সাতসকালেই প্রৌঢ়ের ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখে শিউরে উঠলেন পড়শিরা

Next Article