
কলকাতা: রবিবার ফের উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এখনও ছন্দে ফিরতে পারেনি একাধিক এলাকা। আর তাই আবারও উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, কলকাতা থেকে সরাসরি বাগডোগরায় পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখান থেকে দুপুর একটা নাগাদ হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে পৌঁছবেন মমতা।
জানা যাচ্ছে, আলিপুরদুয়ার জেলার হাসিমারা নীলপাড়া ফরেস্ট কমিউনিটি হলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রিভিউ মিটিং করবে। বন্যা বিধস্ত এলাকাগুলিতেও ফের যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার মিরিক যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
নিম্নচাপের বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখেছেন সকলে। ব্রিজ ভেঙেছে, রাস্তা ধসেছে, বাড়ি-ঘর সব শেষ হয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একাধিক ব্যক্তির। এই পরিস্থিতিতে সবটা দেখতে গত ৮ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কার্নিভাল শেষ হতেই সকাল-সকাল রওনা দিয়েছিলেন তিনি। তারপর সেখানে গিয়ে বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তাঁদের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেন তিনি।
পরবর্তীতে তিনি ফিরে চলে আসার আগে জানিয়ে দেন যে, ফের একবার উত্তরবঙ্গ যাবেন তিনি। পূর্বের সেই ঘোষণা মতো এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে সরাসরি হাসিমারা গিয়ে নামবেন। বন্যায় যে রাস্তার ক্ষতি হয়েছে তার কাজ কতটা এগিয়েছে? উদ্ধার কাজই বা কতদূর এগলো? সবটাই খতিয়ে দেখবেন তিনি।
পুজো কার্নিভালের সময়ই উত্তরে বন্যা হয়েছিল। তবে কার্নিভালের জন্য উত্তরবঙ্গে যেতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করেছিল তাঁরে। মমতা বলেছিলেন, “একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হয় উদ্ধারের জন্য। কেউ কেউ রাজনীতি করছে, তখন কেন কার্নিভাল হল? আরে এটা বাংলার গর্ব। এত ক্লাব আশা করে বসে আছে, তাদের কোনও মূল্য নেই? ফরেন টুরিস্ট ছিল ক্যান্সেল সম্ভব? তাছাড়া সেদিন এসে কী করতাম? আমাদের বা ভিআইপি দেখতে গিয়ে রেসকিউ হত না? পুলিশ কাকে সামলাবে? দমকল কাকে সামলাবে? প্রাথমিক কর্তব্য কোনটা? বিপদের সময় তো মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তো কাজ। নাকি শুধু ভিআইপিদের ট্রিটমেন্ট দেবে?”