আলিপুরদুয়ার: মর্মান্তিক ঘটনা বছর শেষে। আলিপুরদুয়ার ফ্লাইওভারের নীচে উদ্ধার এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ। অগ্নিদগ্ধ হয়ে সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়
ওই ব্যক্তির নাম,ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। অর্ধদগ্ধ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁর পরিচয় উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। রাতে ওখানে সে আস্তানা গাড়ে। ওই এলাকায় নোংরা আবর্জনা, কাগজপত্র জমা করে রেখেছিল। সেখান থেকেই কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়। বিষয়টি দেখতে পুলিশকে বলেছেন পুর প্রশাসক প্রসেনজিৎ কর। আর এই আগুনে ওভারব্রিজের সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি ওই ওভারব্রিজের নীচে সকাল ও বিকেলে বাজার বসে। বেআইনি দখলদার তো রয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
এদিকে, গত কয়েদিন আগে রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের রানিসোরাই এলাকায়। ক্ষতবিক্ষত দেহটি পুরুষ না মহিলার তা জানা যায়নি। সেই সঙ্গে ধোঁয়াশা মৃত্যুর কারণ নিয়েও। এলাকাবাসীর দাবি,খুন করে লাইনের ধারে ফেলে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রেল লাইনের ধারে নয়ানজুলিতে একটি রক্তাক্ত অবস্থায় রহস্যজনক মৃতদেহটি দেখতে পান নারায়ণগড় ব্লকের রানীসরাইয়ের বাসিন্দারা। ঘটনার দিন দুপুরের পর লাইন থেকে কিছুটা দূরে নোয়ানজুলিতে মৃতদেহটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। তড়িঘড়ি তারাই খবর দেন স্থানীয় বেলদা থানায় ও স্থানীয় ভিলেজ পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরে সেটিকে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
ঈশ্বর ঘুঘু নামে এক বাসিন্দা বলেন, “মৃতদেহটি পুরুষ কিংবা মহিলার কিনা তা আমরা বুঝতে পারিনি। ক্ষতবিক্ষত ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল সেটি। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম দেখতে পাওয়ার পরেই। আমাদের মনে হয় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়নি। তা হলে লাইনের আশেপাশেই মৃতদেহটি পড়ে থাকত। কিন্তু আমরা মৃতদেহটি লাইন থেকে বেশ কিছুটা দূরে নয়ানজুলিতে পড়ে থাকতে দেখেছি। আমাদের অনুমান খুন করে ফেলে যাওয়া হয়েছে ওই যুবককে। পুলিশ তদন্ত করলেই আসল সত্যি উঠে আসবে।”
এদিকে, কোথা থেকে কীভাবে ওই মৃতদেহটি এল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছেন বেলদা থানার আধিকারিকরা। তবে স্থানীয়দের অনুমান খুন করে কেউ বা কারা ফেলে দিয়ে গিয়েছে মৃতদেহটি।
আরও পড়ুন: Ludhiana Blast: মিলেছে সূত্র, লুধিয়ানা কোর্ট বিস্ফোরণ কাণ্ডে জার্মানি পাড়ি দিচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা