Dengue in Summer: বৃষ্টির নাম-গন্ধ নেই, কাঠ ফাটা রোদ্দুরেই দুয়ারে ডেঙ্গি!

Sujit Roy | Edited By: Soumya Saha

Apr 29, 2024 | 11:04 PM

Dengue: বর্ষার মরশুম শুরুর আগেই আচমকা এমন ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবে নড়েচড়ে বসেছেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারাও। ডেঙ্গি ঠেকাতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপও করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আলিপুরদুয়ারের উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সুপ্রিয় চৌধুরীও জানাচ্ছেন কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে।

Dengue in Summer: বৃষ্টির নাম-গন্ধ নেই, কাঠ ফাটা রোদ্দুরেই দুয়ারে ডেঙ্গি!
চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি?
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: বৃষ্টির নাম-গন্ধ নেই। চাঁদিফাটা রোদ্দুর। এদিকে জেলায় থাবা বসাতে শুরু করে দিয়েছে ডেঙ্গি। বর্ষার মরশুম শুরুই হল না, এরই মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গি প্রকোপ দেখা দিতে শুরু করেছে। জানুয়ারি মাস থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ পেরিয়ে গিয়েছে। যদিও গতকাল (রবিবার) কালচিনি ব্লকের ক্ষণিকের জন্য ঝড়-বৃষ্টি হয়েছিল। তবে আলিপুরদুয়ার শহরে ছিটেফোঁটাও বৃষ্টি নামেনি। তবে পরিসংখ্যান বলছে, গতকাল পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার জেলায় ৩০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২২ জনই কালচিনি ব্লকের। যদিও গতকালের আগে সাম্প্রতিক কিছুদিনে ঝড়-বৃষ্টি হয়নি কালচিনিতে।

বর্ষার মরশুম শুরুর আগেই আচমকা এমন ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবে নড়েচড়ে বসেছেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারাও। ডেঙ্গি ঠেকাতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপও করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আলিপুরদুয়ারের উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সুপ্রিয় চৌধুরীও জানাচ্ছেন কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা ওখানে গিয়ে সচেতনতা বাড়াচ্ছেন। জমে থাকা জল ফেলে দেওয়া ও ওষুধ স্প্রে করার কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।’

জেলার পরিসংখ্যান বলছে এ বছরের জানুয়ারিতে আলিপুরদুয়ার জেলায় সাত জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে। ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন। মার্চে তিন জন। তারপর এপ্রিলে এই গরমের মরশুমেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। শুধু এপ্রিলেই জেলাতে মোট ১৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই চার মাসে ৩০ জন ডেঙ্গির কবলে পড়েছেন জেলায়। যদিও কালচিনি ব্লকে আক্রান্তের মধ্য়ে অনেকেই ভিন রাজ্য থেকে জ্বর নিয়ে জেলায় এসেছেন। ফলে স্বাস্থ্য কর্তাদের অনুমান, আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে নাও বাড়তে পারে। তবে আগাম সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

Next Article