আলিপুরদুয়ার: চোখের সামনেই মাকে কুপিয়ে খুন করেছিল। রক্তে ভেসে গিয়েছিল গোটা বাড়ি। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল দাদু। শেষে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার জবানবন্দিতেই যাবজ্জীবন কারাবাস হল বাবার। মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলে আলিপুরদুয়ারের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ। পেশায় রাজমিস্ত্রি প্রেমা লোকচানের যাবজ্জীবন সাজার ঘোষণা করেন অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জজ পাপিয়া দাস। একইসঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। তা দিতে না পারলে আরও ৬ মাস টানতে হবে জেলের ঘানি।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ৩১ মে। আলিপুরদুয়ারের দলগাঁও বীরপাড়াতে বাস প্রেমার। সেখানেই নিজের বাড়িতে স্ত্রী তাসামায়া ঘিসিংকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল এলাকায়। মৃতার বাবা কায়লা ঘিসিং থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে শুরু হয় তদন্ত। তারপর থেকেই চলছিল মামলা।
এতদিন আলিপুরদুয়ার সংশোধনারে বন্দি ছিলেন প্রেমা লোকচান। শুনানি চলাকালীন এখনও পর্যন্ত ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন সরকারি আইনজীবী সুহ্রদ মজুমদার। তবে এদের মধ্যে মূল সাক্ষী হিসাবে ছিল প্রেমার মেয়ে প্রীতি লোকচান। এদিন রায় ঘোষণা হতেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় প্রেমাকে।