আলিপুরদুয়ার: উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য করার দাবি যখন করছেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা তখন তাঁরই কেন্দ্রে ভাঙন পদ্ম শিবিরে। বিধানসভা নির্বাচনের পরে এমনিতেই ঘাসফুলে যোগদানের হিড়িক বেড়েছে। এ বার আলিপুরদুয়ারে প্রায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল গেরুয়া শিবির। জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার নেতৃত্বে সোমবার বিজেপির প্রায় আটজন নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। মঙ্গলবার, সেই নেতাদের মাদারিহাটে শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। জেলা প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদের সঙ্গে কুমারগ্রামের নেতা নিশান লামা, কালচিনির নেতা কৃপা জয়সওয়াল, অসীম লামা, বিপ্লব সরকার, বিনোদ মিঞ্জ তৃণমূলে যোগ দেন।
মঙ্গলবারের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে, জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে দলে আসছেন। আজ যাঁরা দলে এসেছেন, তাঁরা বলেছিলেন, ‘দাদা, আপনাকে দেখিয়ে দেব। এই বিধানসভায় আমরা পাঁচটা আসনই জিতব। তারপর, আপনাদের কাছে যাব। এখন আমরা দল ছাড়লে গদ্দার তকমা দেবে। তা হতে দেব না। আমরা জিতে বুঝিয়ে দেব কেন আমরা দলে ছিলাম।’ ওঁদের দলের প্রতি এই দায়বদ্ধতা দেখে আমি মোহিত হয়েছিলাম। এই নীতি, সততাই দরকার।”
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি লক্ষ্য পূরণ না করতে পারলেও আলিপুরদুয়ারে পদ্মফুলের দাপট দেখা গিয়েছে। তারপরেও বিজেপি নেতাদের ঘাসফুলে যোগদান নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের। যদিও, তৃণমূলে যোগদানকারী নেতাদের দাবি, নির্বাচন আবহে দিল্লির নেতৃত্বের ‘কড়াকড়ি’ পছন্দ হয়নি। কিন্তু, নির্বাচনের সময়ে দল ছাড়লে ‘গদ্দার’ তকমা পড়ে যেত বলেই দল ছাড়েননি তাঁরা।
যদিও, এই ভাঙন নিয়ে চিন্তিত নয় বিজেপি। জেলায় নিজদের ঘর গোছাতে ব্য়স্ত পদ্ম শিবির। আগামী ২৯ জুন বিজেপির রাজ্য কার্যকরী কমিটির বৈঠকে জেলার নতুন সভাপতির নাম চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। গঙ্গাপ্রসাদ-সহ একাধিক বিজেপি নেতার দলবদলকে সাংগঠনিক ভাঙন বলতে নারাজ পদ্ম শিবির।
আরও পড়ুন: দিল্লির ‘পাওয়ার বৈঠকে’ ডাক পাননি, ‘পিকে আমাদের ভাগ্যবিধাতা নন’, কটাক্ষ অধীরের