
জলদাপাড়া: একটা নিম্নচাপ কার্যত নাজেহাল করে দিচ্ছে সকলকে। উত্তরবঙ্গ তছনছের পাশাপাশি ডুবেছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যও। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে হলং নদীর উপর ব্রিজ। তারপর রীতিমতো দড়ি দিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে সকলকে।
ভারী বৃষ্টির জেরে জলদাপাড়ায় আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। সেখানে সাফারি আপাতত বন্ধ রয়েছে। এক মহিলা বলেন, “বাঁধ ভেঙে মোটামুটি দেড়শো ঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। সব বাড়িতে জল ঢুকেছে। রাতে খাবার ছিল না। বিডিও রাতে এসে চাল-ডাল দিয়ে গেছে।” স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হলং ব্রিজ মেরামতির কাজ শুরু হবে খুব শীঘ্রই। আরও এক ব্যক্তি বলেন, “এই ব্রিজটা যে বিপজ্জনক সেটা আগেই কিন্তু ঘোষিত ছিল। তারপরও এখনও কাজ হয়নি।”
জানা যাচ্ছে, সোমবার সকালে জলদাপাড়া থেকে কুড়িজন পর্যটককে জেসিবি ও পে লোডার দিয়ে হলং নদী পার করা হয়েছে। তারপর দড়ি বেঁধে পারাপার করা হচ্ছে। আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। তবে, নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় জল আর বাড়েনি হলং নদীতে। নিম্নচাপের ভয়াবহ বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে মিরিকে সব থেকে বেশি। প্রাণ হারিয়ে এক নাবালিকাও। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তারা কীভাবে ফিরবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। যদিও এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। গতকাল রাতেই খুলে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। খোলা রয়েছে দার্জিলিং-কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা। এর পাশাপাশি খোলা রয়েছে হিলকার্ট রোড, পাঙ্খাবাড়ি রোডও। এই রাস্তা দিয়েই পর্যটকদের নেমে আসতে বলা হয়েছে। পাহাড়ে ওঠানামায় কোনও সমস্যা হবে না।