
আলিপুরদুয়ার: প্রায় ছাব্বিশ হাজারের চাকরি চলে গিয়েছে। সেই নিয়ে আন্দোলন-বিক্ষোভ সব চলছে। আদালত নতুন করে চাকরিহারাদের পরীক্ষায় বসতে বলেছে। বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের দুর্নীতির জন্যই এই ছাব্বিশ হাজারের চাকরি চলে গিয়েছে। আজ এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
মোদী বলেন, “দুর্নীতির প্রভাব পড়ে মধ্যবিত্তে। শিক্ষক নিয়োগে তা আমরা দেখেছি। তৃণমূল সরকারের আমল হাজার হাজার শিক্ষকদের পরিবারকে অসহায় করে দিয়েছে। এটা শুধু শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্নীতি নয়, রাজ্যের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে বরবাদ করে দিয়েছে। এত বড় পাপ তৃণমূল নেতারা করেছে, কিন্তু আজও তারা নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। উল্টে দেশের আদালতকে দোষী বলছে এই শাসক দলের নেতারা।”
যদিও, এর পাল্টা দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কারও চাকরি খাইনি। উত্তর প্রদেশেও কয়েক হাজার শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে। আপনি কী করেছেন? আমাদের কাছে মানবিকতা আছে। একটা না একটা উপায় বের করে ফেলব।” উল্লেখ্য, আজ বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভরত চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে থেকে শিক্ষিকাদের একটি প্রতিনিধি দল এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দেখা করতে যান। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে চান। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার নির্দিষ্ট কোনও সময় ধার্য করা ছিল না। সেই কারণে তাঁরা দেখা করতে পারেননি। অপরদিকে, চাকরিহারা শিক্ষকদের আরেকটি প্রতিনিধি দল আলিপুরদুয়ারেও উপস্থিত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা থেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন তাঁরা।