AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘কার কাছে আলু বিক্রি করব আমরা?’, বর্ডারে গাড়ি আটকাতেই ক্ষোভ ফুঁসছেন কৃষকরা

Potato Farmers: জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর কৃষক ওই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। কৃষকদের দাবি, ভিন রাজ্যে আলু যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হিমঘরে মজুত করা আলু আর পাইকাররা নিচ্ছে না। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকেও কৃষকদের আলু কেনা হচ্ছে না। ফলে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।

'কার কাছে আলু বিক্রি করব আমরা?', বর্ডারে গাড়ি আটকাতেই ক্ষোভ ফুঁসছেন কৃষকরা
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2024 | 7:57 AM
Share

আলিপুরদুয়ার: আলুর দামে হু হু করে বাড়তে থাকায় ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নির্দেশ দেওয়ার পর সীমান্তেই আলুর গাড়ি আটকে দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। ভিন রাজ্যে আলু না গেলে, এ রাজ্যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করছে সরকার। কিন্তু কৃষকদের কী হবে? কোথায় আলু বিক্রি করবেন তাঁরা?

রাজ্য সরকারের নির্দেশের বিরোধিতা করে এবার পথে নামলেন কৃষকরা। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বলাই মেমোরিয়াল ক্লাব ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জেলার আলু চাষিরা। এরপর মিছিল বক্সা ফিডার রোড ধরে সোজা চলে যায় জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যার সামনে। সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর কৃষক ওই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। কৃষকদের দাবি, ভিন রাজ্যে আলু যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হিমঘরে মজুত করা আলু আর পাইকাররা নিচ্ছে না। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকেও কৃষকদের আলু কেনা হচ্ছে না। ফলে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।

কৃষকদের আরও অভিযোগ, সারের কালোবাজারিও চলছে কৃষি বাজারে। সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। অবিলম্বে রাজ্য সরকার এই বিষয়ে সুরাহা না করলে, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন কৃষকরা, এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারী এক কৃষক বলেন, আমরা চাষ করি, কিন্তু আলুর দাম পাওয়া যায় না। ভিনরাজ্যে না যেতে দিলে কী করে হবে। কৃষকরা তো দুটো পয়সা পাচ্ছে। তাহলে নায্যমূল্যে সরকার আলু কিনুক। আমরা তো সেটাও দিতে প্রস্তুত। কার কাছে আলু বিক্রি করব আমরা?

শুক্রবার ডুয়ার্সকন্যার সামনে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছিল। এরপর কৃষকদের পাঁচ প্রতিনিধি গিয়ে জেলাশাসককে একটি স্বারকলিপি দেন।