আলিপুরদুয়ার : ছাড় পাচ্ছে না নাবালিকারাও। যৌন লালসার শিকার হচ্ছে একরত্তিরাও। কখনও টিউশন পড়ানোর নাম করে, কখনও আঁকার ক্লাসে, প্রায়শই ছোট্ট ছোট্ট মেয়েদের যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে তাদেরই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ায় টিউশানি পড়ানোর নাম করে কিছুদিন আগে শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উস্তিতে স্কুলের একাধিক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন (Physical Harassment) করার অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত বছরের নভেম্বরে একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায় হুগলিতে। আদর করার নামে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর বুকে হাত, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নির্যাতনের (Physical Abuse) অভিযোগ ওঠে একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। এবার কম্পিউটার শেখানের নাম করে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকে। অভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কম্পিউটার শেখানোর নাম করে দোতলার ঘরে ডেকে নিয়ে যৌন হেনস্থা করেছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পর ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে পুলিশের কাছে জমা পড়ে অভিযোগ। তারপরেই করা হয় গ্রেফতার। পকসো আইনে শুরু হয় মামলা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই শিক্ষক। রয়েছে নেশা করে স্কুলে আসার মতো অভিযোগও। মঙ্গলবার তাঁকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনায় ব্যাপক চাপানউতর শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়। স্কুলের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভও দেখান এলাকার বাসিন্দারারা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের অভিযোগ, যাঁদের হাতে তাঁদের ছেলে-মেয়েদের ছেড়ে দিয়ে তাঁরা নিশ্চিন্ত হতে পারেন, যাঁদের উপরে বাচ্চাদের মানুষ করার দায়িত্ব সেই শিক্ষকরাই যদি এই কাজ করেন তাহলে সামাজের কী অবস্থা হবে! ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকার শিক্ষা মহলেও। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষকের ওই স্কুল থেকে বদিলর পাশাপাশি কড়া শাস্তিরও দাবি করেছেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।