NASA: সূর্য কণা নিয়ে গবেষণা করে নাসায় ডাক পেলেন আলিপুরদুয়ারের শৌভিক

Alipurduar: সূর্য কণা ( Sun particle) নিয়ে গবেষণার (Research) জন্য নাসা (NASA) থেকে ডাক পেলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) শৌভিক বোস (Soubhik Bose)।

NASA: সূর্য কণা নিয়ে গবেষণা করে নাসায় ডাক পেলেন আলিপুরদুয়ারের শৌভিক
শৌভিকবাবুকে সংবর্ধনা পুরসভার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2021 | 4:59 PM

আলিপুরদুয়ার: সূর্য কণা ( Sun particle) নিয়ে গবেষণার (Research) জন্য নাসা (NASA) থেকে ডাক পেলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) শৌভিক বোস (Soubhik Bose)। সেই খবর ছড়াতেই খুশির হাওয়া জেলায়। জেলার গর্ব এই তরুণ গবেষককে সংবর্ধিত করতে পেরে খুশি আলিপুরদুয়ার পুরসভা (Alipurduar Municipality)।

সূর্য কণা নিয়ে গবেষণার জন্য নাসায় যাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের শৌভিক বোস। নাসা ও লকহিড মার্টিনের যৌথ গবেষণায় যুক্ত হতে চলেছেন তিনি। বরাবরের কৃতি ছাত্র শৌভিকের কৃতিত্বে খুশি সারা আলিপুরদুয়ারবাসী। ১০ বছরে কঠোর পরিশ্রমের পর ধাপে ধাপে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছচ্ছেন এই তরুণ গবেষক।

আলিপুরদুয়ারে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন শৌভিক। সেখানে স্নাতক পাশ করে এর পর কলকাতার সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে ভর্তি হন। সেখান থেকে চলে যান বেঙ্গালুরু। বেঙ্গালুরু ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে পড়াশোনা করেছেন শৌভিক। তার পর নরওয়ে অসলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলতি বছরই সূর্য কণা নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন শৌভিক। আর তার পরেই এলো নাসা ও লকহিড মার্টিনের যৌথ একটি গবেষণায় ডাক। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই আমেরিকা পাড়ি দিচ্ছেন তিনি।

শৌভিক জানান, তাঁর গবেষনা পুরোপুরি সূর্যকেন্দ্রিক। বলেন, “সূর্য কণা থেকে আমাদের পৃথিবীর কী কী ক্ষতি হতে পারে, কখন কী ভাবে কতটা পরিমাণ সূর্যকণা বেরিয়ে আসতে পারে, তা আগাম জানতে পারলে অনেক ক্ষতি এড়াতে পারব আমরা। তাই নিয়েই এই গবেষনা”। তিনি আরও যোগ করেন, “পৃথিবীর চারদিকে মানুষের হাতে তৈরি প্রচুর স্যাটেলাইট ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে সোলার ফ্লেয়ার বা সৌর ঝড়, সূর্যের মধ্যে বড়সড় বিস্ফোরণ হলে আচমকাই প্রচুর পরিমানে ইলেকট্রন, প্রোটন কণা বেরিয়ে আসে। এতে একসঙ্গে সব স্যাটেলাইট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ক্ষতি হতে পারে মহাকাশ স্টেশনের এবং সেখানে থাকা অ্যাস্ট্রোনটদের। পাওয়ার গ্রিডের কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।”

শৌভিক জানান, তাই তাঁদের গবেষণা সৌর ঝড় নিয়ে পূর্বাভাস দিতে পারবে। পৃথিবীর ক্ষতি এড়ানো যাবে। দুটি সংস্থাই এ ব্য়াপারে শিখরে রয়েছে। নাসায় একাধিক গবেষণায় যুক্ত তিনি বলেও জানান আলিপুরদুয়ারের তরুণ।

২০২০ সালে কাজের সুবাদে রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ লন্ডনের ফেলোশিপ-ও পেয়েছেন তিনি। এদিন পুরসভার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে খুশি শৌভিক। আর তাঁকে সংবর্ধনা দিতে পেরে খুশি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুর প্রশাসক প্রসেনজিৎ কর বলেন, “নাসাতে গবেষনার সুযোগ পেয়েছেন শৌভিক। আমরা খুশি এবং গর্বিত”। এদিন এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পুরসভায় প্রশাসক মণ্ডলীর সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: TMC: তৃণমূল নেতার পুকুর ছোট হয়ে যাবে, তাই রাস্তায় ‘না’ পুরসভার! কোমর জলে পারাপার বাসিন্দাদের