Alipurduar: ঘুম ভেঙেই দেখলেন সব ভেসে যাচ্ছে, ভুটান সীমান্তের এই গ্রামে ঘরে ঘরে আতঙ্ক

Alipurduar: স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পরিবার নিয়ে তাঁরা আশ্রয় নেন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বাড়িতে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র বন্যার জলে নষ্ট হয়ে যায়। কেউ তেমন কিছুই বের করতে পারেনি। পরিস্থিতির খবর পেয়ে বিত্তিবাড়ি পরিদর্শনে যান রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক ও কুমারগ্রামের বিডিও রজত কুমার বলিদা।

Alipurduar: ঘুম ভেঙেই দেখলেন সব ভেসে যাচ্ছে, ভুটান সীমান্তের এই গ্রামে ঘরে ঘরে আতঙ্ক
Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 05, 2025 | 9:18 PM

আলিপুরদুয়ার: প্লাবনে ভাসল ভারত-ভুটান সীমান্তের বিত্তি বাড়ি গ্রাম। গোটা গ্রাম প্লাবিত হল সংকোশ নদীর জলে। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ এই গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। সেই সময় সবেমাত্র ঘুম থেকে উঠেছেন গ্রামবাসীরা। সকালে ক্ষেতে কাজ করতে করতে তাঁরা হঠাৎ দেখতে পায় নদীর জল ঢুকছে গ্রামে। কাজ ফেলে দৌড়ে বাড়িতে চলে যান সবাই। কিন্তু দ্রুত জল ঢুকে যাওয়ায় বাড়ি থেকে কেউ কিছুই বের করতে পারেনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পরিবার নিয়ে তাঁরা আশ্রয় নেন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বাড়িতে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র বন্যার জলে নষ্ট হয়ে যায়। কেউ তেমন কিছুই বের করতে পারেনি। পরিস্থিতির খবর পেয়ে বিত্তিবাড়ি পরিদর্শনে যান রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক ও কুমারগ্রামের বিডিও রজত কুমার বলিদা।

সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, স্থানীয়দের শুকনো খাবার ও পরবর্তীতে রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করেন সাংসদ। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সকালে জল ঢুকলেও বিকেল পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোন কিছুই ত্রাণ দেওয়া হয়নি। বিডিও জানান, সব কিছুই ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু জয়দেবপুরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় সেদিকেই বেশি নজর দেওয়া হয়েছে।

সোমবার উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি হঠাৎ বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সংকোশ নদী এবং সাধারণভাবে সিকিম ও ভুটান থেকে বিভিন্ন নদীর বিপুল পরিমাণ জল এ রাজ্যে চলে আসায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। জলের ভয়ঙ্কর তোড়ে দুটি লোহার সেতু ভেঙ্গে গিয়েছে, প্রচুর রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে, বিশেষত মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, মাটিগাড়া এবং আলিপুরদুয়ার থেকে আমাদের কাছে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।