আলিপুরদুয়ার: প্যাঙ্গোলিন সহ গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধানকে। শুক্রবার জেমস বোরোগাঁ নামে ওই অভিযুক্তকে এক জীবন্ত প্যাঙ্গোলিন (Pangolin) সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। আলিপুর দুয়ারের ঘটনা। এই বন্যপ্রাণীটিকে বিক্রি করার চেষ্টা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। গ্রেফতার করার পর জানা যায়, জেমস বোরোগাঁ ওই ব্যক্তি আলিপুরদুয়ারের খোয়ারডাঙা ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান। এভাবে প্যাঙ্গোলিন পাচারের ঘটনায় তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা।
শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের নিমাতি রেঞ্জ এলাকায় ক্রেতা সেজে ওই প্যাঙ্গোলিন সহ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে বনদফতর। তিনি খোয়ারডাঙা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার উত্তর নারারথলীর বাসিন্দা। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্যাঙ্গোলিন বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন বলে বনদফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। NH31 C-এর পূর্ব রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জ এবং নিমাতি রেঞ্জের কাছে গিয়েই ধরা পড়ে যান তিনি।
বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন, ১৯৭২ অনুযায়ী প্যাঙ্গোলিন একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। ওই ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বন দফতর। শনিবার তাঁকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তুলবে পুলিশ। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পরভীন খাসোয়ান বলেন, ‘প্যাঙ্গোলিন বিক্রির ছক কষেছিলেন ওই ব্যাক্তি। ক্রেতা সেজে তাঁকে পাকড়াও করা হয়েছে। এর পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।’
এই ঘটনায় আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেন, ‘এই দলের নীতিই হল চৌর্যবৃত্তি। এরা বালি, ত্রিপল থেকে ঘরের টাকা সবই চুরি করে। এবার বন্যপ্রাণীতে হাত দিয়েছে। মা-বোনেদের বলব গরু, ছাগল, মুরগী সব সামলে রাখবেন। সবাই যেখানে চোর সেখানে এটাই হওয়ার কথা ছিল। সেটাই হচ্ছে।’