TMC Leader: নীল বাতি লাগানো গাড়িতে কেন ঘুরছেন তৃণমূল নেতা! প্রশ্ন তুলল বিজেপি
শুক্রবার তিনি নীলবাতি লাগানো গাড়ি করেই সাহেবপোতায় নিজের বাড়িতে ফেরেন। সঙ্গে অন্য তিনটি গাড়িও এসেছে। হঠাৎ তিনি গাড়িতে কেন নীলবাতি লাগালেন এবং কনভয় নিয়ে কলকাতা গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আলিপুরদুয়ার: নীল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘোরাফেরা করছেন তৃণমূল নেতা। কী ভাবে তিনি এই গাড়ি পাচ্ছেন, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। ওই গাড়িতে চেপেই কলকাতা পর্যন্ত সফর সেরে ফেলেছেন তিনি। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা তৃনমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন দে এ ভাবেই অবাধে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরছেন। এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্বও দিয়েও দেখছেন না তিনি।
নীলবাতি লাগিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে সম্প্রতি কলকাতা সফরে যান। আর তা নিয়েই শোরগোল পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তিনি আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি। প্রশাসনিক মহল সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই পদে থেকে তিনি গাড়িতে নীলবাতি লাগিয়ে ঘুরতে পারেন না। অথচ গত বুধবার সকালে নিজের কালো রঙের বিলাসবহুল গাড়িতে নীলবাতি লাগিয়ে তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।
তাঁর সেই গাড়ির পেছনে আরও তিনটি গাড়ি ছিল। জানা গিয়েছে, শুক্রবার তিনি নীলবাতি লাগানো গাড়ি করেই সাহেবপোতায় নিজের বাড়িতে ফেরেন। সঙ্গে অন্য তিনটি গাড়িও এসেছে। হঠাৎ তিনি গাড়িতে কেন নীলবাতি লাগালেন এবং কনভয় নিয়ে কলকাতা গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ব্যাপারে মনোরঞ্জন দে-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বিজেপির খেয়ে দেয়ে কাজ নেই। শুধু মনকে ছোট করতে হবে। তাই আমার পেছনে লেগেছে। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। করোনার সময় কত মানুষকে সাহায্য করলাম। স্বাস্থ্য দফতরের একটি মেশিন কিনে দিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জলপাইগুড়িতে তো সহ সভাধিপতি নীল বাতি লাগিয়ে ঘোরে। তখন তো ওরা বলে না কিছু। এটা একটা খবর হল! বিজেপির অভিযোগকে আমি পাত্তা দিই না।’
বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষন মোদক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘উনি তো নীলবাতি গাড়ি পান না। কি করে নীল বাতি নিয়ে ঘোরেনকলকাতা গিয়েছিলেন নীলবাতি গাড়ি নিয়ে। এটা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত। তাহলেই রহস্য সব বের হয়ে আসবে।তিনি আরও বলেন, সাধারণত, নীল বাতি গাড়ি কোনও তদন্তকারী সংস্থা চেক করে না। গাড়িতে এমন কিছু ছিল, তা আড়াল করার জন্য উনি নীলবাতি ব্যবহার করেছেন বলে আমার মনে হয়।’