আলিপুরদুয়ার: পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে (New Alipurduar) পৌঁছলেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল (Suman Kanjilal)। মঙ্গলবার স্টেশনে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিধায়ক ট্রেন থেকে নামতেই তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা দেন। এরপর বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল স্টেশন থেকে বেরিয়ে দলীয় কার্যালয় উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সুমন কাঞ্জিলালের পাশাপাশি একইসঙ্গে ওই ট্রেন থেকে নামেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক এবং পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর।
সূত্রের খবর, বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হওয়ার পিছনে মূল ভূমিকায় ছিলেন দলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক এবং পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর। সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। রবিবার কলকাতায় ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। তৃণমূলের প্রতীক আঁকা উত্তরীয়। যদিও সেদিন সুমন কাঞ্জিলালের হাতে জোড়াফুলের পতাকা দেখা যায়নি।
এদিনও গলায় তৃণমূলের প্রতীক আঁকা উত্তরীয় চাপানো সুমন কাঞ্জিলালের গলায়। ট্রেন থেকে নামার পর যেভাবে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়েছে, তা দেখে মুগ্ধ বিধায়ক। বললেন, ‘আমি অভিভূত।’ বিধায়ককে নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যেও। ট্রেন স্টেশনে পৌঁছানোর আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন তাঁরা। প্লাটফর্মে ছিল তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়। ট্রেন এসে পৌঁছাতেই স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে যায় প্লাটফর্ম চত্বর।
প্রসঙ্গত, সুমন কাঞ্জিলালের দলবদলের ইস্যুকে ইতিমধ্যেই হাতিয়ার করতে শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এরই মধ্যে এদিন নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে বিধায়ককে স্বাগত জানাতে তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের উপচে পড়ল ভিড়। বিধায়ককে ঘিরে উঠল স্লোগানও।