
বৈষ্ণবনগর ও সামশেরগঞ্জ: গত কয়েকদিন এই হাইস্কুল ছিল তাঁদের আশ্রয়স্থল। চোখের জলকে সঙ্গী করে একসঙ্গে এখানে ছিলেন। মুর্শিদাবাদে হিংসার আবহে গঙ্গা পেরিয়ে মালদহের বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর এই হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। রবিবার বন্ধ হয়ে গেল পারলালপুর হাইস্কুলের সেই আশ্রয় শিবির। প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় শিবির থেকে মুর্শিদাবাদে নিজের নিজের ঘরে পাড়ি দিলেন সবাই।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে গোলমাল বাধে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায়। ভাঙচুর চালানো হয়। গাড়ি-বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। হিংসার আবহে গঙ্গা পেরিয়ে বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর হাইস্কুলে আশ্রয় নেন অনেক।
জানা গিয়েছে, ভিটেমাটি ছেড়ে সামশেরগঞ্জের বেতবোনা এলাকা থেকে পারলালপুর গ্রামে গিয়েছিল প্রায় ৮৫টি পরিবার। এদিন আশ্রয় শিবির থেকে সব পরিবার নিজের বাড়ি ফিরে আসে। জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে এবং জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে সবাইকে নৌকা ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা গঙ্গা ঘাট থেকে নিরাপত্তার সঙ্গে প্রত্যেককে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে পারলালপুরের আশ্রয় ক্যাম্পে আর কোনও পরিবার নেই।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, “পরিস্থিতি এখন শান্ত। সবাই বাড়ি ফিরে এসেছেন।” তিনি জানান, মোট ১৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৯২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, যাঁরা চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা নিজেরাই বাড়ি ফিরে এসেছেন। আগের মতোই শান্তির পরিবেশ রয়েছে। সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা গিয়েছিলেন, সবার বাড়ি ভাঙচুর হয়নি। অনেকে আতঙ্কে ঘর ছেড়েছিলেন। তাঁরা নিজেরাই ফিরে আসছেন।