AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durgapur: দুর্গাপুরে ভিনরাজ্যের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের পাশের জঙ্গলেই চলল অকথ্য নির্যাতন

Medical Student: অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুরোদমে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই তরুণী। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই পড়ুয়া তাঁরই এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজের বাইরে ফুচকা খেতে বেরিয়েছিলেন। আর তখনই ঘটে যায় এই ঘটনা।

Durgapur: দুর্গাপুরে ভিনরাজ্যের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের পাশের জঙ্গলেই চলল অকথ্য নির্যাতন
প্রতীকী ছবি Image Credit: Social Media
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2025 | 3:14 PM
Share

দুর্গাপুর: রাজ্যে আবারও ধর্ষণের শিকার ডাক্তারি পড়ুয়া। দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভিন রাজ্যের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ বেশ কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই পড়ুয়া কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই বেশ কয়েকজন যুবক ওই যুবতীর পথ আটকায়। তারপরই বেসরকারি হাসপাতালের পিছনের দিকের একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই তরুণী। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই পড়ুয়া তাঁরই এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজের বাইরে ফুচকা খেতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের উত্যক্ত করতে শুরু করে। কটূ কথা বলতে থাকে। সঙ্গে থাকা বন্ধুকেও তাড়া করে। তখনই তাঁদের ভয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। সেই সময়ই মেয়েটিকে একা পেয়ে টানতে টানতে পাশে থাকা জঙ্গলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। চলে অকথ্য নির্যাতন। গণধর্ষণের পর ছাত্রীর মোবাইলও কেড়ে নেওয়া বলে অভিযোগ। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই ছাত্রী। মেয়েকে আর এই রাজ্যে রেখে পড়াতে চাইছেন না পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতিতার বাবা বলছেন, “আমার মেয়ে এখানে সুরক্ষিত নেই। আমি এখানে আর ওকে পড়াব না। আমি ওকে বাড়ি নিয়ে চলে যাব।”  

দুর্গাপুরের নিউটাউশিপ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কোনও নামও জানা যায়নি। কাউকে পাকড়াও করা যায়নি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে। তাঁদের দাবি, আরজি করের ঘটনার অনেক তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে যাতে তেমনটা না হয় সে কথা বারবার বলছেন তাঁরা। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। আরজি কর, কসবা কাণ্ডের রেশ টেনে তিনি বলছেন, “দোষীদের সঠিকভাবে ধরে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি না দেওয়ার কারণেই এভাবে যৌন নির্যাতনের ঘটনা, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গে কোনও রেপিস্ট বা খুনের চরম শাস্তি হতে দেখছি না। কারও ফাঁসি হতে দেখিনি। আমরা যতই দৌড়াই কিন্তু কোনও একটা অদৃশ্য হাতের জন্য কোনও দোষীর সেইভাবে শাস্তি হচ্ছে না। বিচার পেতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে।”