
আসানসোল: পুকুর ভরাট কুলটিতে। ময়লা আবর্জনা ফেলতে ফেলতে বুজে এসেছে বাজার এলাকার পুকুর। বাজার এলাকার পুকুরটি তৈরি হয়েছিল দুটি উদ্দেশ্যে। বর্ষায় বাজারে জল না জমে চলে যাবে নীচু এলাকায় থাকা পুকুরে। আবার বাজারে আগুন লাগলে পুকুরের জল দিয়ে সামলানো যাবে পরিস্থিতি। কিন্তু দিনের পর দিন এক শ্রেণির জমি মাফিয়া পুকুরটি নানা উপায়ে বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। কখনও পুকুরের পাড় দখল করে, কখনও পাড়ে সারা বছর ময়লা আবর্জনা ফেলে। অথচ উদাসীন প্রশাসন। অভিযোগ, কাউন্সিলর, ভূমি দফতর, স্থানীয় বাজার কমিটি, ভ্রূক্ষেপ নেই কারোর। কিংবা প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে কারোর কারোর। আসানসোল পুরসভার কুলটি বিধানসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
ওই ওয়ার্ডের নিয়ামতপুর সীতারামপুর স্টেশন রোডের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সংলগ্ন একটি পুকুর বোজানোর চেষ্টা চলছে। কুমারডিহা মৌজার , ২৭২ দাগ নম্বরে ওই পুকুরটি অনেক পুরানো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীদের একাংশ এই কাজ করছে বলে অভিযোগ। এক শ্রেণির অসাধু ব্যাবসায়ী এই পুকুর বুজিয়ে নির্মাণের কাজ করছে। যদিও পুকুরটি পুনুরুদ্ধরের দাবি জানিয়েছেন নিয়ামতপুর মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সংস্থার সম্পাদক শচীন ভালোটিয়া কুলটি বিএলআরওকে জানিয়েছেন ঘটনার কথা। বিএলআরওর দাবি, “অভিযোগ পেয়েছি। যদি সঠিক হয়, কড়া পদক্ষেপ করা হবে!”
বিজেপির অভিযোগ, পুকুরটি পুনরুদ্ধার করতে হবে। মণ্ডল সহ সভাপতি টিঙ্কু ভার্মার অভিযোগ, “এই ঘটনার পেছনে তৃণমূল কাউন্সিলারের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে।” এদিকে, তৃণমূল কাউন্সিলার জাকির হোসেনের দাবি, “এই পুকুরটি ভরাট তাঁর আগের পুরবোর্ড থেকে চলছে। বিষয়টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের দেখা উচিত।”
কুলটি বিএলআরও সহ আধিকারিক সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি “সত্য প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবেশ ও নিরাপত্তার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। বিরোধীদের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি।