
বাঁকুড়া: পরপর দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকলে এবার জনপ্রতিনিধিদের সাম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলে জনপ্রতিনিধিদের কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্যেশ্যেই এই হুঁশিয়ারি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সভাধিপতির এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
সম্প্রতি তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি ও দলীয় কাজে বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিয়ে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্বের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার বাঁকুড়ার শালতোড়ায় দলের কর্মিসভার প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে দলের কাজ না করলে জনপ্রতিনিধিদের সাম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়।
অনুসূয়া নিয়ম উল্লেখ করে বলেন, “পঞ্চায়েতের পরপর তিনটি বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির থাকলে যেমন পঞ্চায়েত সদস্যদের সাম্মানিক বন্ধ হয়ে যায়, তেমনই এরপর থেকে দলের বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির থাকলে তাঁদের সাম্মানিক বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
সভাধিপতির এই বক্তব্য সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি পঞ্চায়েতের তিন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট হারে সরকারি সাম্মানিক পান। দলীয় কর্মসূচীতে গরহাজির থাকলে সেই সাম্মানিক আদৌ কি তৃণমূলের বন্ধ করার কোনও এক্তিয়ার রয়েছে ?
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সৌগত পাত্র বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের দলীয় কাজ ও সরকারি কাজ এক হয়ে গিয়েছে। নেতারাই বুঝতে পারছেন, দলেরই জনপ্রতিনিধিদের একাংশ দলীয় কাজে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে তাঁদের উজ্জীবিত করতেই এখন তৃণমূল নেতৃত্বকে এমন হুঁশিয়ারি দিতে হচ্ছে।”