Bankura Hospital: সবে পৃথিবীর দেখেছে বাচ্চাটা, তারই বেডের পাশে ভেঙে পড়ল এই চাঙড়, ভাবুন শুধু…
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন বিষ্ণুপুর ব্লকের মাজুরিয়া গ্রামের গৃহবধূ পূজা সর্দার। বুধবার রাতে তিনি ওই হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রসবের পর ওই প্রসূতি ও তাঁর সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে রাখা হয় হাসপাতালের পোস্ট ন্যাটাল ওয়ার্ডে। সেখানে গতকাল বিকালের দিকে যখন নিজের বেডে মেয়েকে নিয়ে পূজা শুয়ে ছিলেন।

বাঁকুড়া: বাইরে থেকে ঝকঝকে-তকতকে হয়ে রয়েছে হাসপাতাল। সুন্দর করে নীল-সাদা রং-ও রয়েছে করা। কিন্তু ভিতরের অবস্থা? আজ অর্থাৎ শুক্রবার যা ঘটেছে জানলে শিউরে উঠবেন। সদ্য পৃথিবীর আলো দেখছে শিশুটি। তার বেডের পাশেই খসে পড়ল চাঙড়। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন মা আর শিশু। কিন্তু কত বড় বিপদ হতে পারত তা সকলেই আন্দাজ করেছেন মনে-মনে।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। তারপর ঘুম ভাঙে প্রশাসনের। তড়িঘড়ি ওই ওয়ার্ড থেকে সদ্যজাত ও প্রসূতিদের সরিয়ে শুরু হয় সংস্কারের কাজ। প্রশ্ন উঠছে, পোস্ট ন্যাটালের মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ওয়ার্ডের এমন বেহাল দশা কেন এতদিন কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেল?
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন বিষ্ণুপুর ব্লকের মাজুরিয়া গ্রামের গৃহবধূ পূজা সর্দার। বুধবার রাতে তিনি ওই হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রসবের পর ওই প্রসূতি ও তাঁর সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে রাখা হয় হাসপাতালের পোস্ট ন্যাটাল ওয়ার্ডে। সেখানে গতকাল বিকালের দিকে যখন নিজের বেডে মেয়েকে নিয়ে পূজা শুয়ে ছিলেন। সেই সময় আচমকা তাঁর বেডের পাশেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ছাদের চাঙড়ের একাংশ। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান পূজা ও তাঁর সদ্যজাত সন্তান। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘুম ভাঙে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি ওই ওয়ার্ড থেকে প্রসুতি ও সদ্যজাতদের অন্যত্র সরিয়ে আজ সকাল থেকে ছাদের ও বেহাল অংশ সংস্কারের কাজ শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে ভবনের ছাদের চাঙড় খসে পড়ার মতো অবস্থা সেখানে কেন সদ্যজাত ও প্রসূতিদের রাখা হচ্ছিল? তবে কি ওই ওয়ার্ডের এই বেহাল দশা নজর এড়িয়ে গিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, নিয়মিত পূর্ত দফতরকে দিয়ে হাসপাতাল ভবনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তাছাড়া হাসপাতালের অধিকাংশ ভবনই বেশ পুরানো। হাসপাতালে বেড সংখ্যা বৃদ্ধির পরেও রোগীর চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়েই পুরানো ভবনে এমনকি হাসপাতালের করিডোরেও রোগীদের রাখতে হচ্ছে। এর ফলেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।
সদ্য জাতের মা পূজা সর্দার বলেন, “আমি আর আমার মেয়ে শুয়ে ছিলাম। সেই সময় বেডের রডে এসে পড়ল। আমার হাতে একটু লেগেছে। আর বাচ্চাটার মাথায় এমনি গুঁড়ো গুলো এসে পড়েছে।”
