
বাঁকুড়া: পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে যে এই কাণ্ড হবে তা আঁচ করতে পারেননি কেউই। উঠে এল প্রাচীন ধাতব দুর্গা মূর্তি। কিন্তু মূর্তির অধিকার নিয়ে শুরু হয়ে গেল তুমুল শোরগোল। পুকুরের মালিকরা মূর্তিটি পাবেন নাকি পাবেন মাছ চাষি, তা নিয়ে জোর শোরগোল বাঁকুড়া শহরের দোলতলা এলাকায়। শেষ পর্যন্ত পুকুর মালিকেরা দুর্গা মূর্তিটি নিয়ে গেলেন বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বিকনা গ্রামে। এই গ্রামে পাশেই রয়েছে পুকুরটি। সকাল থেকেই সেখানে চলছিল মাছ ধরার কাজ। এরইমধ্যে আচমকাই ভার হয়ে ওঠে জাল। সকলে প্রথমে মাছ ভাবলেও কিছু সময়ের মধ্যে মূর্তি দেখে সকলে হতবাক হয়ে যান।
জগদ্ধাত্রী পুজোর আবহে দুর্গা মূর্তি উদ্ধারের খবরে শোরগোল শুরু হয়ে যায় আশপাশের এলাকাতেও। মূর্তিটি নিয়ে এসে নিজেদের পারিবারিক দুর্গা মন্দিরে রেখে পুজোর আয়োজন করছিলেন বাঁকুড়া শহরের দোলতলা এলাকার পেশায় মাছ চাষি সন্দীপ কর্মকার। খবর জানাজানি হতেই ছুটে যান পুকুরের মালিকরা। মূর্তি আদপে তাঁদের সম্পত্তি বলে দাবি করতে থাকেন। তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে লেগে যায় তুমুল বচসা। তা কিছু সময়েই হাতাহাতিতে পরিণত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পুকুর মালিক পক্ষ ওই মূর্তি নিয়ে বিকনা গ্রামে নিয়ে যান।
যদিও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সন্দীপ কর্মকার। তাঁর দাবি, যেহেতু তাঁর জালে ওই মূর্তি উঠে এসেছে তাই সেটির অধিকার তাঁরই। জোর করে মালিকপক্ষ তা নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে পুকুরের মালিকপক্ষের তরফে রাজেশ সিংহ ঠাকুর দাবি করেন ওই পুকুর থেকে আগেও মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। সেটি তাঁদের কাছেই রয়েছে। গোটা পুকুরটি যেহেতু তাঁদের মালিকানাধীন তাই অধিকার তাঁদেরই।