
বাঁকুড়া: সাত থেকে আটটা গ্রামের ভরসা ওই একটাই কাঁচা রাস্তা। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে বাজার, সবকিছুই নির্ভর করে এই রাস্তার উপরেই। প্রবল বর্ষায় সেই রাস্তা দিয়ে এখন হাঁটাচলাই কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এক হাঁটু কাদায় কার্যত বন্দি ওই সাত আটটি গ্রামের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। প্রতিবাদে রাস্তার হাঁটু সমান কাদায় দাঁড়িয়ে ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদে সামিল হলেন গ্রামের মহিলারা। ঘটনা বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বৃন্দাবনপুর গ্রামের।
বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের আড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের পড়াশিবনা, বৃন্দাবনপুর, কেলাই, তালারডাঙ্গা, জিয়াড়া সহ সাতটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম পড়াশিবনা থেকে কেলাই পর্যন্ত এই রাস্তা। পড়াশিবনা থেকে বৃন্দাবনপুর পর্যন্ত দু’কিলোমিটার অংশ রীতিমতো বেহাল। সম্প্রতি ওই অংশে মাটি দিয়ে মেরামত করে স্থানীয় আড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত। আর তাতেই যেন জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। বর্ষার জলে মাটি মিশে যাতায়াত যেন একেবারে নরক যন্ত্রণার সামিল। গ্রামবাসীরা বলছেন, এভাবে হবে না। চাই স্থায়ী সমাধান।
গ্রামবাসীরা বলছেন বর্তমানে রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল হয়ে যায় যে অবস্থা ধানের জমির থেকেও খারাপ। বারবার বিষয়টি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানিয়েও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। অগত্যা আজ বৃন্দাবনপুর গ্রামের মহিলারা রাস্তায় নেমে ওই রাস্তার উপর ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদে সামিল হন। রাস্তায় নেমে দেখান বিক্ষোভও। স্থানীয়দের দাবি, ভোটের সময় নেতারা ভোট চাইতে গ্রামে এলেও রাস্তার হাল ফেরাতে কোনও নেতা বা জনপ্রতিনিধিকে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। অবিলম্বে রাস্তার হাল না ফিরলে বিডিও অফিস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।