Crop Insurance: শস্যবিমার তালিকায় ২২ ‘ভুয়ো কৃষক’ও, অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় বাঁকুড়ায়

Bankura: ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র বলেন, "চাষ করেন কি না, প্রকৃত চাষি কি না সেটা দেখা বিমা সংস্থার দায়িত্ব। সেটা আমরা পঞ্চায়েত বলতে পারব না। আমার মনে যাঁরা বলছেন, চাষি নয় ওনারা, এটা একেবারেই ভিত্তিহীন। চাষি পাবেন, যাঁরা অন্যের জমিতে চাষ করেন তাঁরাও পাবেন। নথি ছাড়া বিমা হলে তা তো বিমা সংস্থা দেখবে।"

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 25, 2023 | 4:52 PM

বাঁকুড়া: এবার শস্যবিমা নিয়ে অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ভুয়ো কৃষক দেখিয়ে শস্যবিমার টাকা পাইয়ে দেওয়ারও। ছাতনা ব্লকের হাউসিবাদ গ্রামে অন্তত ২২ জনকে ভুয়ো কৃষক হিসাবে দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাঁদের নিজের নামে এক ছটাকও জমি নেই বা অন্যের জমিতে ভাগচাষও করেন না, এমন অনেককেই ভুয়ো নথির ভিত্তিতে মোটা অঙ্কের শস্যবিমার টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দুর্নীতি কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলেও অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত সমিতি ভুয়ো চাষি বলে কাউকে মানতে নারাজ।

নীলমোহন মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁরা যে পরিমাণ জমির হিসাব দিয়ে শস্যবিমা চেয়েছিলেন, সেই জমির পরিমাণ কম দেখিয়ে শস্যবিমা দেওয়া হয়েছে। অথচ জমি নেই এমন কৃষকও বীমা পেয়েছেন। অভিযোগকারী এক কৃষক জানান, কিছু কিছু লোক ইনসিওরেন্স পেয়েছে ভুয়ো চাষি সেজে। বড় জালিয়াতি চক্র চলেছে। সরকারি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। প্রতি গ্রামে এরকম জালিয়াতি হয়েছে। কয়েক কোটি টাকা হতে পারে। অন্যদিকে ভুয়ো চাষি হিসাবে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি জানান, “আমি ভাগচাষি হিসাবে কাগজপত্র দিই। এরপর আর জানিও না কী হয়েছে।”

অভিযোগ উঠছে, স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান তাঁদের শংসাপত্র দিচ্ছেন যে এই কৃষকরা ভাগচাষি। আর এখানেই উঠছে দুর্নীতির প্রশ্ন। তাহলে প্রধান কোন নথির ভিত্তিতে এই কৃষকদের ভাগচাষি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন?

যদিও ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র বলেন, “চাষ করেন কি না, প্রকৃত চাষি কি না সেটা দেখা বিমা সংস্থার দায়িত্ব। সেটা আমরা পঞ্চায়েত বলতে পারব না। আমার মনে যাঁরা বলছেন, চাষি নয় ওনারা, এটা একেবারেই ভিত্তিহীন। চাষি পাবেন, যাঁরা অন্যের জমিতে চাষ করেন তাঁরাও পাবেন। নথি ছাড়া বিমা হলে তা তো বিমা সংস্থা দেখবে।”

বাঁকুড়ার উপকৃষি অধিকর্তা নারায়ণচন্দ্র মণ্ডলের বক্তব্য, “আমরা প্রাথমিকভাবে একটা তদন্ত করে দেখেছি যাঁদের নিজস্ব জমি নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ধরনের একটা প্রধান সাহেবের শংসাপত্র রয়েছে সকলেরই। দরখাস্ত করার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ মতো জায়গা দেখিয়ে আবেদন করলে এবং পরে কম বিমা পেয়ে থাকলে তাহলে কোম্পানি যা পাওয়ার কথা সেটা পরে মিটিয়ে দেওয়া হবে। আর সবটা খতিয়ে দেখার জন্য আমরা কোম্পানিকে কিন্তু লিখিতভাবে জানিয়েছি। তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

বাঁকুড়া: এবার শস্যবিমা নিয়ে অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ভুয়ো কৃষক দেখিয়ে শস্যবিমার টাকা পাইয়ে দেওয়ারও। ছাতনা ব্লকের হাউসিবাদ গ্রামে অন্তত ২২ জনকে ভুয়ো কৃষক হিসাবে দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাঁদের নিজের নামে এক ছটাকও জমি নেই বা অন্যের জমিতে ভাগচাষও করেন না, এমন অনেককেই ভুয়ো নথির ভিত্তিতে মোটা অঙ্কের শস্যবিমার টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দুর্নীতি কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলেও অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত সমিতি ভুয়ো চাষি বলে কাউকে মানতে নারাজ।

নীলমোহন মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁরা যে পরিমাণ জমির হিসাব দিয়ে শস্যবিমা চেয়েছিলেন, সেই জমির পরিমাণ কম দেখিয়ে শস্যবিমা দেওয়া হয়েছে। অথচ জমি নেই এমন কৃষকও বীমা পেয়েছেন। অভিযোগকারী এক কৃষক জানান, কিছু কিছু লোক ইনসিওরেন্স পেয়েছে ভুয়ো চাষি সেজে। বড় জালিয়াতি চক্র চলেছে। সরকারি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। প্রতি গ্রামে এরকম জালিয়াতি হয়েছে। কয়েক কোটি টাকা হতে পারে। অন্যদিকে ভুয়ো চাষি হিসাবে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি জানান, “আমি ভাগচাষি হিসাবে কাগজপত্র দিই। এরপর আর জানিও না কী হয়েছে।”

অভিযোগ উঠছে, স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান তাঁদের শংসাপত্র দিচ্ছেন যে এই কৃষকরা ভাগচাষি। আর এখানেই উঠছে দুর্নীতির প্রশ্ন। তাহলে প্রধান কোন নথির ভিত্তিতে এই কৃষকদের ভাগচাষি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন?

যদিও ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র বলেন, “চাষ করেন কি না, প্রকৃত চাষি কি না সেটা দেখা বিমা সংস্থার দায়িত্ব। সেটা আমরা পঞ্চায়েত বলতে পারব না। আমার মনে যাঁরা বলছেন, চাষি নয় ওনারা, এটা একেবারেই ভিত্তিহীন। চাষি পাবেন, যাঁরা অন্যের জমিতে চাষ করেন তাঁরাও পাবেন। নথি ছাড়া বিমা হলে তা তো বিমা সংস্থা দেখবে।”

বাঁকুড়ার উপকৃষি অধিকর্তা নারায়ণচন্দ্র মণ্ডলের বক্তব্য, “আমরা প্রাথমিকভাবে একটা তদন্ত করে দেখেছি যাঁদের নিজস্ব জমি নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ধরনের একটা প্রধান সাহেবের শংসাপত্র রয়েছে সকলেরই। দরখাস্ত করার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ মতো জায়গা দেখিয়ে আবেদন করলে এবং পরে কম বিমা পেয়ে থাকলে তাহলে কোম্পানি যা পাওয়ার কথা সেটা পরে মিটিয়ে দেওয়া হবে। আর সবটা খতিয়ে দেখার জন্য আমরা কোম্পানিকে কিন্তু লিখিতভাবে জানিয়েছি। তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”