
বাঁকুড়া: ফের সিভিকের নতুন কীর্তি ঘিরে শোরগোল। ৪৩ বছর আগে মারা গিয়েছেন দাদুর বাবা। তাঁর নামে থাকা জমির বর্তমান শরিক মোট ২৩ জন। কিন্তু অপর ২২ জন শরিককে বঞ্চিত করে ৪৩ বছর আগে মৃত প্রপিতামহ সেজে সেই জমি নিজের স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় সিভিক ভলান্টিয়র। তিনি নিজেও ওই জমির শরিক বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনা বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার মামুদপুর গ্রামের। জানাজানি হতেই সিভিকের কীর্তির কথা জানিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন অন্যান্য শরিকেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পাত্রসায়ের থানার মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন রামকৃষ্ণ কারক। ১৯৮২ সালের জুন মাসে তিনি মারা যান। তাঁর মালিকানাধীন ১ একর ১৯ শতক জমি তাঁর ২ ছেলের নামে রেকর্ড করার কথা। কিন্তু, নানা কারণে তা আজও হয়ে ওঠেনি। বর্তমানে শরিক বাড়তে বাড়তে বর্তমান প্রজন্মের নাতি-নাতনি মিলিয়ে সংখ্যাটা তেইশে পৌঁছ গিয়েছে। সদ্য ওই জমির উপর দিয়ে গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর প্রয়োজন। তাতেই নতুন করে শুরু হয় নথিপত্রের খোঁজ। শেষ পর্যন্ত হাতে পেতেই চোখ কপালে উঠে যায় অন্যান্য শরিকদের।
দেখা যায়, জমির বেশিরভাগ অংশের মালিকের জায়গায় দেখা যাচ্ছে পাত্রসায়ের থানার সিভিক ভলান্টিয়র দীনবন্ধু কারকের স্ত্রী অন্তরা কারকের নাম। তারপরই ফের ভাল করে খতিয়ে দেখা হয় সমস্ত নথিপত্র। তাতেই দেখা যায় ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে দীনবন্ধু প্রপিতামহের জায়গায় নিজের ছবি সাঁটিয়ে জমির বেশিরভাগ অংশই রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন নিজের স্ত্রী অন্তরা কারকের নামে। তা জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের অন্যান্য শরিকরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতারণা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে। আগে জমি দখলে বাধা দিতে হেলে তাঁদের উপর চড়াও হয়েছেন ওই সিভিক। অন্যদিকে অভিযুক্ত সিভিকের স্ত্রীকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে পারেননি।