বাঁকুড়া: শালী নদীর জলের তোড়ে ভেঙে গেল বাঁশের সাঁকো। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় যুবক। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ৫ থেকে ৬টি গ্রামের। ঘটনা পাত্রসায়ের ব্লকের গোস্বামী গ্রামের। পাত্রসায়ের ব্লকের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শালী নদী। গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে শালী নদী। এই নদীর ওপরে গোস্বামীগ্রামে গ্রামের কাছে এতদিন একটি বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলত স্থানীয়দের যাতায়াত। সেই যাতায়াতই এখন বন্ধ।
গোস্বামীগ্রাম, বৈকন্ঠপুর, শালখাড়া, ভগবতীপুর সহ পাঁচ থেকে ছ’টি গ্রামের মানুষ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে এই সাঁকো ব্যবহার করতেন। এদিন শালী নদীর জলস্রোতে বাঁশের সাঁকোটি আচমকাই ভেঙে নদীগর্ভে তলিয়ে হয়ে যায়। ঘটনার সময় বাসের সাঁকোর উপর স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক দাঁড়িয়ে ছিলেন। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন তারা।
কিন্তু, ব্রিজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল ওই গ্রামগুলির। চরম সমস্যায় এলাকার মানুষেরা। অন্যদিকে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার সীমানায় থাকা ডাংরা নদীও প্রবল বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে। তার জেরে ভেসে গিয়েছে একাধিক সেতু। যার প্রায় বন্ধের মুখে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা। উদ্বেগ বাড়ছে দুই জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে।