Bankura: ‘হাত ধুতে এসেছিলাম, এক অদ্ভুত শব্দ শুনি’, বাঁকুড়ায় হাজার লিটারের জলের ট্যাঙ্কের নাম শুনলেই ছ্যাঁৎ করে উঠছে বুক!

Bankura: পানীয় জলের এমন ব্যবস্থা হওয়ায় আশার আলো দেখেছিল গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। শনিবারই বরাত পাওয়া ঠিকাদার ওই ট্যাঙ্কে প্রথম জল ভর্তি করার কথা বলেন গ্রামবাসীদের। ঠিকাদারের কথামতো সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে ট্যাঙ্ক ভর্তি করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।

Bankura: 'হাত ধুতে এসেছিলাম, এক অদ্ভুত শব্দ শুনি', বাঁকুড়ায় হাজার লিটারের জলের ট্যাঙ্কের নাম শুনলেই ছ্যাঁৎ করে উঠছে বুক!
বাঁকুড়ায় ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2023 | 12:22 PM

বাঁকুড়া: তৈরির ১০ দিনের মাথায় ভেঙে পড়ল গ্রামে জল সরবরাহের ওভারহেড টাঙ্কি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন স্থানীয় বাসিন্দা। ঠিকাদারের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরা। শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চুড়ামনিপুর গ্রামের এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে জলের ট্যাঙ্ক তৈরি করাতেই এই বিপত্তি। আর সেক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকেই আঙুল তুলেছেন। ঠিকাদারের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। প্রসঙ্গত, গ্রামের জলসঙ্কট মেটাতে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চুড়ামনিপুর গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্পের সাহায্যে ওভারহেড ট্যাঙ্ক ভর্তি করে তা দিয়ে জলসরবরাহের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।

বরাত পেয়ে গ্রামের মাঝে দুর্গামন্দির সংলগ্ন জায়গায় গভীর নলকূপ খনন করে পাশেই এক হাজার লিটারের ওভারহেড ট্যাঙ্ক বসানো হয়। প্রায় সাত ফুট উঁচু পাকা নির্মাণের ওপর এক হাজার লিটারের সিন্থেটিক ট্যাঙ্ক বসানো হয়। ১০ দিন আগেই কাজ শেষ হয়। দীর্ঘদিনের জলকষ্ট থেকে এবার মুক্তি মিলবে বলে আশা করেন গ্রামবাসীরা।

পানীয় জলের এমন ব্যবস্থা হওয়ায় আশার আলো দেখেছিল গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। শনিবারই বরাত পাওয়া ঠিকাদার ওই ট্যাঙ্কে প্রথম জল ভর্তি করার কথা বলেন গ্রামবাসীদের। ঠিকাদারের কথামতো সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে ট্যাঙ্ক ভর্তি করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। হুড়মুড়িয়ে ট্যাঙ্ক সমেত পাকা সাত ফুটের নির্মাণ ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় ট্যাঙ্কের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন চুড়ামনিপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চট্টোপাধ্যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

এদিকে এই ঘটনার পরই এলাকার বাসিন্দা ওই ঠিকাদারের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি এই ট্যাঙ্ক নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই গোপনীয়তা রেখে চলেছে গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বারবার জানতে চাওয়া সত্ত্বেও এই প্রকল্পের জন্য কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি গ্রাম পঞ্চায়েত।

অভিযোগ উঠছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগসাজসে ওই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন ঠিকাদার। অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মাণ করাতেই এই বিপত্তি ঘটেছে। এলাকারই বাসিন্দা তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বলেন, “আমাদের এখানে জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা দুর্গামন্দিরের পাশেই একটি জায়গায় ট্যাঙ্ক করার কথা বলি। আমি পঞ্চায়েতে বারবার কত টাকা খরচ, এস্টিমেটটা অত্যন্ত দেখাতে বলি। কিন্তু দেখায়নি। বোঝাই তো যাচ্ছে কী হচ্ছে।”  এক গ্রামবাসী বলেন, “হাতমুখটা ধুতে সবেমাত্র এসে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার ছেলে দূর থেকে দেখে বলল সরে যাও। কোনও ক্রমে সরে যাই। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওত বড় ট্যাঙ্ক।” ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে স্থানীয় নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।