Bankura BJP: ‘মাসোহারা দিতে পারিনি তাই…’, পদ থেকে বাদ পড়তেই ‘গোঁসা’ করে বললেন বিজেপি নেতা
Bankura: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার পাত্রসায়রের। যদিও, বাদ পড়া ওই নেতার বিস্ফোরক দাবি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব।
বাঁকুড়া: ‘গৃহযুদ্ধ’ যেন থামছেই না বিজেপির অন্দরে।অভিযোগের তালিকা ক্রমে বেড়েই চলেছে, কমার কোনও লক্ষণ নেই! মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, শিলিগুড়ির পর সেই তালিকায় যুক্ত হল বাঁকুড়ার নাম। বিজেপির মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই দলের অন্দরে শুরু বিদ্রোহ। ‘মাসোহারা’ দিতে না পারাতেই বাদ’ এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন সদ্য প্রাক্তন মণ্ড সভাপতি কান্তি গুঁই।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার পাত্রসায়রের। যদিও, বাদ পড়া ওই নেতার বিস্ফোরক দাবি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব। গতকাল বিজেপির বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা করে দলীয় নেতৃত্ব। ওই তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, পাত্রসায়ের দু’নম্বর মণ্ডলের দীর্ঘদিনের সভাপতি তমাল কান্তি গুঁইকে বদল করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনুপ ঘোষকে।
এবার মণ্ডল সভাপতি পদে এই রদবদল মেনে নিতে পারেননি বিদায়ী মণ্ডল সভাপতি তমাল কান্তি গুঁই। এরপরই আজ তিনি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক,সাংসদ ও দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তমাল কান্তি গুঁইয়ের দাবি দলের বিধায়ক ও সাংসদকে মাসোহারা দিতে না পারাতেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ দলের বিভিন্ন পদে কাজের নয় নেতাদের কাছের লোকদের স্থান দেওয়া হচ্ছে। বিদায়ী মণ্ডল সভাপতির এই বক্তব্য সামনে আসতেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। বিষয়টি নিয়ে এখনি সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। তিনি টেলিফোনে বলেন বিষয়টি দলের আভ্যন্তরীণ বিষয় তাই দলের অভ্যন্তরেই আলোচনা হবে।
কান্তি গুঁই বলেন, “আমি অন্য দল থেকে আসিনি। এই দল প্রথম থেকে করেছি। ভবিষ্যতেও করব। দল দেখেছে কাছের মানুষটাই আগে গুরুত্বপূর্ণ কাজের মানুষ নয়। আসলে মাসোহারা দিতে পারিনি। টাকা দিতে পারিনি সেই কারণে…।”