বাঁকুড়া: কারোর বমি। কারোর পায়খানা। কারোর আবার অসহ্য পেটে ব্যথা। গোটা গ্রামের প্রায় ১৬৮ জনের একই ধরনের উপসর্গ। সকলেই অসুস্থ। এদের মধ্য়ে আবার ৪৫ জন ভর্তি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, কালীপুজোর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন এই সকল গ্রামবাসীরা। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের কুন্দি গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে অসুস্থদের দেখতে যান তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের হামিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুন্দি গ্রামে কালী পুজো চলছিল। মঙ্গলবার রাত্রিবেলা সেই প্রসাদ খান গ্রামের লোকজন। এলাকাবাসীর দাবি, বুধবার সকাল থেকে একে-একে অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। কারোর বমি, কারোর পায়খানা সহ বিভিন্ন উপগর্গ দেয়। এরপর গ্রামবাসীকে স্থানীয় পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়।
পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে জানা গিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত মোট ৪৫ জন অসুস্থকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। অন্যান্য আরও শতাধিক অসুস্থর চিকিৎসা চলছে বাড়িতে রেখেই। গ্রামে নিয়মিত পাঠানো হচ্ছে মেডিক্যাল টিম। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই গ্রামে ফুড সেফটি আধিকারিকদের পাঠিয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ খোঁজা হচ্ছে।
হিমাংশু সাঁতরা নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “আমাদের একটা পুজো হয়। সেই পুজোয় ঠান্ডা প্রসাদ হিসাবে পুজোতে ঠান্ডা ভোগ দেওয়া হয়। ফল থাকে, ছোলা থাকে। আমাদের মনে হয় সেটাতেই কিছু পড়েছিল। তাতেই বিষক্রিয়া হয়েছে। এতেই ফুড পয়েজন হয়।” অপরদিকে, বিএমওএইচ পাত্রসায়রের প্রাথমিক স্বাস্থ কেন্দ্র সৈকত বেরা বলেন, “আমাদের মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছিল। শুনেছি লোকাল পুজো প্রসাদ খেয়েই অসুস্থ হয়েছেন তাঁরা। পায়খানা এবং বমি ভাব দেখা যায়। আজও মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি আগের থেকে একটু ভাল। ছ’জনের ছুটি হয়ে গিয়েছে।”